করোনাকালেও থেমে নেই বড়লেখায় টিলাকাটা করোনাকালেও থেমে নেই বড়লেখায় টিলাকাটা – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মে দিবসে বড়লেখায় শ্রমজীবীদের মাঝে নিসচা’র পানি ও স্যালাইন বিতরণ বড়লেখায় ঝড়ে উড়ে গেছে পৌরভবনের চাল-ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুতহীন বড়লেখায় ব্যবসায়ির ভূমির গাছ চুরি-চার আসামির ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা রাজনগরের ফতেহপুর ইউপি চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস সাময়িক বরখাস্ত কুলাউড়ায় ওয়াশ বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন কমলগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুলের মতবিনিময় কুলাউড়া শাহ্জালাল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের উপাধ্যক্ষের বিদায়ী অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ আত্রাইয়ে তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন কুলাউড়ায় ইউনিয়ন ওয়াটসান কমিটির ওয়াশ বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন মৌলভীবাজারে আগর-আতর শিল্পের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক সেমিনার-উৎপাদন ও রপ্তানির জটিলতা নিরসনের দাবি

করোনাকালেও থেমে নেই বড়লেখায় টিলাকাটা

  • শুক্রবার, ১০ জুলাই, ২০২০

এইবেলা, বড়লেখা ::

বড়লেখায় করোনাকালেও অবাধে চলছে প্রাকৃতির টিলা কর্তন। পরিবেশ আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কতিপয় প্রভাবশালী অবৈধভাবে টিলা কেটে মাটি বিক্রি করছে। টিলার মাটিবাহী ট্রাক-ট্রাক্টরে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট। বিনষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ, আবাসস্থল হারাচ্ছে জীব-জন্তু।

জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন যখন সরকারী নির্দেশনা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত, ঠিক তখনই কতিপয় প্রভাবশালী পাহাড়ঘেষা এলাকার সরকারী-বেসরকারী টিলা কেটে মাটি বিক্রিতে তৎপর হয়ে উঠেছে। টিলার মাটি কেটে বিক্রি করায় প্রকৃতির ভারসাম্য মারাত্মকভাবে বিনষ্ট হচ্ছে। আবাসস্থল হারাচ্ছে পাখপাখালি। অতিবর্ষনে ভুমিধসের আশংকা দেখা দিয়েছে। মাটিবাহী ট্রাক-ট্রাক্টরে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির (কাঠালতলী) পূর্বগৌড় নগর গ্রামের নজাবত আলী মাস্টারের বাড়ির পাশের একটি বিশাল প্রাকৃতিক টিলা কাটতে কয়েকজন শ্রমিককে দেখা যায়। ৩টি ট্রাক্টর মাটি পরিবহনে নিয়োজিত। একটি ট্রাক্টরের চালক ও মালিক নাইম হোসেন জানান, টিলার মালিক অনুমতি দেয়ায় তারা মাটি কেটে কাঠালতলী বাজারে একটি ভিটা ভরাচ্ছেন। টিলা কাটায় নিষেধাজ্ঞার বিষয় তাদের জানা নেই। টিলার মালিক নজাবত আলী মাস্টারের ছেলে কামরুল ইসলাম জানান, টিলা কাটতে না দিলে তারা ঘরদোয়ার বানাবেন কিভাবে। পাশ্ববর্তী বিওসি কেছরীগুল এলাকায়ও একাধিক স্থানে অবৈধভাবে টিলা কাটতে দেখা গেছে। স্থানীয় লোকজন জানান, প্রতিদিন একাধিক ট্রাক/ট্রাক্টরে মাটি পরিবহণ করায় চলাচলের রাস্তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। টিলাখেকোরা প্রভাবশালী হওয়ায় নিষেধ দিতে তারা ভয় পান। ফলে বাধ্য হয়েই তারা দুর্ভোগ পোয়াচ্ছেন।

ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান জানান, পরিবেশ আইন অনুযায়ী সরকারী কিংবা বেসরকারী কোনধরণেরই টিলা কাটা যাবে না। ইতিমধ্যে টিলা কাটার অভিযোগে কয়েকজনকে অর্থদন্ড ও কারাদন্ড দিয়েছেন। টিলা কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews