একটি বই ইতিহাসকে জাগিয়ে রাখতে পারে – সাইফুল আলম একটি বই ইতিহাসকে জাগিয়ে রাখতে পারে – সাইফুল আলম – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১০:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তীব্র জনবল সংকট ও তহবিলের ঘাটতির কারণে স্বাস্থ্য সেবা ও এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ব্যাহত হচ্ছে আত্রাইয়ে মহাসড়কে ঝরল এক এনজিও কর্মীর প্রাণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আত্রাইয়ে তিন পদে ১৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল কুলাউড়ায় দুই নেত্রীর লড়াইয়ে কে হাসবেন শেষ হাসি? প্রকপ্ল পরিদর্শণে কুলাউড়ায় ইউনিসেফ ওয়াশ ন্যাশনাল কনসালটেন্ট কমলগঞ্জে কৃষকদের মধ্যে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ও গাছের চারা বিতরণ লন্ডনে বড়লেখা ফাউন্ডেশন ইউ.কে নেতৃবৃন্দের সাথে ব্যবসায়ি সাইদুল ইসলামের মতবিনিময় জুড়ীতে স্থলবন্দর চালুর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দলের এলাকা পরিদর্শন বড়লেখা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নিয়াজ উদ্দীন কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান কুলাউড়ায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৩ জনকে জরিমানা

একটি বই ইতিহাসকে জাগিয়ে রাখতে পারে – সাইফুল আলম

  • শুক্রবার, ৮ অক্টোবর, ২০২১
ভৈরবে বই মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠান-
বিশেষ প্রতিনিধি ::
একটি বই ইতিহাসকে জাগিয়ে রাখতে পারে। লিখনির মাধ্যমে সমাজের অনেক কিছু প্রকাশ করা যায়। সাংবাদিকতার পাশাপাশি বই লেখা একটি মহৎ কাজ। অবসরে সময় কাটানোর জন্য অনেকেই বই লেখে থাকেন। যুগান্তরের ভৈরব প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান ফারুক সাংবাদিকতার বিষয় নিয়ে ” সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার অজানা কথা ” যে বইটি লিখেছেন তা একটি প্রশংসনীয় কাজ করেছে। বইটি পড়লে নতুন প্রজম্মের সাংবাদিকরা অনেক কিছুই শিখতে পারবে, জানতে পারবে যা আমার বিশ্বাস। রিদম প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রকাশিত সাংবাদিক আসাদুজ্জমান ফারুক এর লেখা “সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার অজানা কথা ” বইয়ের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম উপরোক্ত কথাগুলি বলেন।
০৮ অক্টোবর শুক্রবার সকালে ভৈরব প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান বাচ্চু। অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিন, উপজেলা আ,লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাংগীর আলম সেন্টু, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ রফিকুল ইসলাম, ভৈরব চেম্বার সভাপতি আলহাজ্জ মোঃ হুমায়ূন কবির, ভৈরব প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম বাকী বিল্লাহ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাংবাদিক সুমন মোল্লা ও মোস্তাফিজ আমিন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই লেখক সাংবাদিক আসাদুজ্জামান ফারুক বক্তব্য রাখেন।
পরে অতিথিগণ বইটির মোড়ক উম্মোচন করেন। প্রধান অতিথি হিসেবে সাইফুল আলম তার বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিকতা করতে হলে সমাজের কারো চাপে পড়ে সাংবাদিকতায় পিছপা হওয়া যাবেনা। সমাজের সত্য বাস্তব ঘটনাটি লিখে পত্রিকায় প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে। একজন সাংবাদিককে ২৪ ঘন্টা তার মাথায় রাখতে হবে কোথায় কি ঘটনা ঘটেছে। তাহলেও সাংবাদিকতায় প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব।
তিনি বলেন, আমার সাংবাদিকতা জীবন ৪২ বছর। সাংবাদিক জীবনে আমি সাব এডিটর, বিশেষ সংবাদদাতা, চীফ রিপোর্টার, বার্তা সম্পাদক, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক পদে একাধিক দায়িত্ব পালন করেছি। এখন আমি সম্পাদক। সকাল ১১ টায় অফিসে এসে রাত ১১ টায় বাসায় ফিরি। অফিসের ১২ ঘন্টা সময় সর্বক্ষণ থাকি সাংবাদিকতার কাজ নিয়ে। এভাবেই চলছে আমার জীবন। লক্ষ্য যদি সুনির্দিষ্ট থাকে, চিন্তা যদি সাংবাদিকতা থাকে তবে একজন প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক হওয়া কঠিন নয়। একজন সাংবাদিক নিউজের সাথে কোন আপোষ করতে পারবেনা। তাহলেই তিনি হবেন প্রকৃত সাংবাদিক। অনেকেই কাজের ব্যর্থতার জন্য মানুষের শ্রদ্ধা ভালবাসা পায়না, আমরা সহজ পথে সবকিছু পেতে চাই। আমাদের পারিপার্শ্বিক বন্ধন আজ হারিয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিকরা আজ ভাল নেই। তিনি প্রশ্ন রাখেন, রাজনৈতিক কারনে আজ সাংবাদিকরা লিখতে পারছেনা, শুধু কি তাই? না তা নয়, সাংবাদিকরা আজ পরিশক্তির কাছে, জঙ্গীবাদের কাছে, সন্ত্রাসীদের কাছে বাধাপ্রাপ্ত ও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। দেশে এখন তিন হাজার মিডিয়া রয়েছে। তার মধ্য প্রিন্ট মিডিয়া, টিভি, রেডিও ও অনলাইন। এসব কতটি মিডিয়া ভাল আছে। আমি যখন শুনি নারায়নগন্জ থেকে ২২ টি, চাঁদপুর থেকে ২৮ টি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ হয়, তখন ভাবতে অবাক লাগে। ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে আমাদের এই বাংলাদেশ। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান এদেশকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। কিন্ত দেশে আজও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করতে হয় যা লজ্জাজনক। দেশের মানুষের দায়িত্ব আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। অনুষ্ঠানে তিনি তার জীবনের স্মৃতি ও সাংবাদিকতার বিষয় নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। বই মোড়ক অনুষ্ঠানে তাকে দাওয়াত দেয়ার জন্য ভৈরব প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান ফারুকসহ প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ দেন এবং কৃতজ্ঞতা জানান। বিশেষ করে সাংবাদিক ফারুকের লেখা বইটির প্রশংসা করেন তিনি। ভবিষ্যতে অবসর পেলে আরও বই লিখতে পরামর্শ দেন তিনি। লেখক আসাদুজ্জামান ফারুক তার বক্তব্যে বলেন, শত ব্যস্ততার মাঝে সাইফুল আলম ভাই আমার অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে উপস্থিত হয়েছেন যা আমার সৌভাগ্য বলা যায়। অনুষ্ঠানে আসার জন্য তিনি তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান বাচ্চু তার বক্তৃতায় বলেন, সাইফুল আলম ভাই অনেক গুনী, পরিশ্রমী ও উচুমানের একজন সম্পাদক। দেশের প্রচার বহুল পত্রিকা যুগান্তর। এই পত্রিকাটিকে তিনি দেশের শীর্ষ পত্রিকায় উন্নতি করেছেন। সাংবাদিক ফারুক শুধু সাংবাদিকতাই করেনা, বইটি লিখে তিনি ইতিহাসে ঠাঁই করে নিয়েছেন। দুপুর ১ টায় অনুষ্ঠান শেষ হলে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়। দুপুর আড়াইটায় সম্পাদক সাইফুল আলম ঢাকার উদ্যেশ্যে ভৈরব থেকে রাওয়ানা দেন।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews