কুড়িগ্রামে আ’লীগ নেতার শোকজের জবাবে বেরিয়ে এলো থলের বিড়াল – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রাজস্ব তহবিলের অর্থ আত্মসাত- বড়লেখা উপজেলা পরিষদের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক বরখাস্ত, বিভাগীয় মামলা বড়লেখায় নবপল্লব প্রকল্পের ‘প্রকল্প অবহিতকরণ’ সভা একদল অপকর্ম করে পালিয়েছে, আরেকদল সেই অপকর্মের দায় কাঁধে তুলে নিয়েছে : শফিকুর রহমান আধ্যাত্মিক, মানবিক দর্শন ও লোক ক‌বি সাধক হাসন রাজার মৃত্যুবার্ষিকী আজ আজ বড়লেখা মুক্ত দিবস : মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আলোচনা সভা প্রয়াত ডা. পবন চন্দ্র দেবনাথের ছোট ভাই ব্রজেন্দ্র দেবনাথ আর নেই কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শনে রেলওয়ে সচিব- সম্পন্নের ডেডলাইনেও বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় বড়লেখায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নফল রোজা শেষে ইফতার ও দোয়া মাহফিল কুলাউড়ায় আদালতের নির্দেশনা ভঙ্গ করে কৃষকদের জমিতে ফসল রোপণের অভিযোগ ছাতকের ইউএনও’কে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান

কুড়িগ্রামে আ’লীগ নেতার শোকজের জবাবে বেরিয়ে এলো থলের বিড়াল

  • শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২১

Manual3 Ad Code

কুড়িগ্রাম সদর প্রতিনিধি ::

কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলাধীন হলোখানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ নাসির কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এটিএম আকতার হোসেন চিনু ও সাধারণ সম্পাদক ছালেহ আহমেদ মজনুর বিরুদ্ধে পাল্টা গুরুতর অভিযোগ করেছেন।

জানা যায়, গত ১৬ অক্টোবর ২০২১ তারিখে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ ডাকযোগে হলোখানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ নাসির এর নিকট পাঠানো হয় এবং নোটিশ প্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে তার বিরুদ্ধে সংগঠনের শৃংখলা ও স্বার্থপরিপন্থী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না তার ব্যাখ্যাসহ লিখিত জবাব চাওয়া হয়।

এছাড়াও নোটিশে এম এ নাসিরের বিরুদ্ধে উপজেলা নেতৃবৃন্দের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ করা, কুরুচিপুর্ণ মন্তব্য করা, আদেশ-নির্দেশ অমান্য করাসহ গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকারও অভিযোগ আনা হয়।

Manual2 Ad Code

অভিযুক্ত এমএ নাসির তার লিখিত  জবাবে বলেন, আমার নেতৃত্বে হলোখানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অত্র ইউনিয়নের বিএনপির চেয়ারম্যান উমর ফারুকের দুর্নীতি, লুটপাট ও অনিয়মের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান গড়ে তোলায় এবং আত্মসাতকৃত ১৩ বস্তা ভিজিএফ এর চাল কালোবাজারে বিক্রির সময় হাতেনাতে আটক করে পুলিশে দেয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এটিএম আকতার হোসেন চিনু আমার উপর ক্ষুব্দ হন। তিনি আমাকে তার বাসায় ডেকে নিয়ে চেয়ারম্যানের দুর্নীতি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার নির্দেশ দিয়ে বলেন ওমর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লাগতে গেলে তোমার পদ পদবী থাকবে না। আমি তার(চিনু) এই অনৈতিক, অসামাজিক   ও সংগঠনের আদর্শ পরিপন্থী নির্দেশ অমান্য করায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চিনু সাহেব বিএনপি দলীয় চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করায়। এ ব্যাপারে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির চেয়ারম্যান উমর ফারুকের দুর্নীতি ও লুটপাটের সাথে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এটিএম আকতার হোসেন চিনুসহ স্হানীয় কিছু আওয়ামী লীগ নেতার যোগসাজস রয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছালেহ আহমেদ মজনু সম্পর্কে এম এ নাসির বলেন, মজনু সাহেব স্বপ্রণোদিত হয়ে তার ঔষধের ব্যবসার পার্টনার বানানোর জন্য আমার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবী করেন। কিন্তু আমি তাতে সম্মতি না দেয়ায় তিনিও আমার উপর ক্ষুব্দ হন এবং স্বপদে থাকতে দিবেন না মর্মে হুমকি প্রদান করেন।

নীতি-নৈতিকতা ও আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করার কারণে এবং অন্যায়-অবিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আমার যুগ্ম আহ্বায়কের পদ থেকে সরানোর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমাকে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। এহেন স্বেচ্ছাচারি কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

Manual5 Ad Code

এম এ নাসির সাংবাদিককে জানান, আমার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট বিষয়ে মামলা করতে গেলে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি চিনু ও সাধারণ সম্পাদক মজনুর কারণে মামলাও  করতে পারিনি। তাদের (চিনু ও মজনু) সাহসে উমর ফারুক  চেয়ারম্যান পরিষদে  সরকারের দেয়া উন্নয়ন মুলক সকল কাজে বিভিন্ন অনিয়ম করতেছে । এতে আওয়ামী লীগ সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। যা আমি একজন মুজিব সৈনিক হিসেবে মেনে নিতে পারিনা।

এম এ নাসির প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে বিচার চেয়ে তাকে অনুরোধ করে বলেন, আপনি সুষ্ঠ তদন্ত করে  সঠিক বিচার করবেন। এতে আমি দোষী হলে আপনার বিচার মাথা পেতে মেনে নিবো।

উল্লেখ্য যে, বিধি বহির্ভুতভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের একক সিদ্ধান্তে ও স্বাক্ষরে বিগত ১০ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে ঘরে বসে পূর্বের অনুমোদিত কমিটি বিলুপ্ত না করেই মোঃ আব্দুল খালেক মন্ডল(চিনু) কে আহ্বায়ক ও এম এ নাসিরকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট হলোখানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একটি অবৈধ কমিটি গঠন করা হয়।

Manual1 Ad Code

হলোখানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পূর্বের বৈধ কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ সোলজার হোসেন বলেন, ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারী মোঃ আব্দুল জলিলকে আহ্বায়ক, মোঃ সোলজার হোসেনকে ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক ও মোঃ আব্দুল খালেক মন্ডল চিনুকে ২নং যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট হলোখানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদিত হয়। এই কমিটি বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভুমিকা পালন করে আসলেও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনৈতিক, অসামাজিক ও স্বেচ্ছাচারি সিদ্ধান্তে সম্মত না হওয়ায় তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাউকে না জানিয়ে আমাদের অনুমোদিত কমিটি বিলুপ্ত ছাড়াই অপর একটি অবৈধ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে যা আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী।

তিনি আরও বলেন, গত ১মার্চ ২০১৭ তারিখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি স্বাক্ষরিত জেলা/মহানগর/উপজেলা/পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর প্রেরিত চিঠিতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের অনুমতি ব্যতীত কোন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌর, থানা, উপজেলা ও জেলা শাখার কমিটি ভাঙা বা বিলুপ্ত করা যাবে না।

অথচ কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের ব্যক্তি স্বার্থে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা না করে হলোখানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে ভাঙা-গড়ার খেলায় মেতে উঠেছে। সংগঠনের স্বার্থে তিনি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবী করেন।

এবিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এটিএম আকতার হোসেন চিনুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এমএ নাসির আমার বিরুদ্ধে যে লিখিত অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা,  বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। নাসিরের অপরাধ ঢেকে রাখার জন্য এখন অন্যের উপর অপরাধ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেছে। এ বিষয়েও আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।

Manual2 Ad Code

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছালেহ আহমেদ মজনুর  সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এমএ নাসিরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ আমার দিয়েছি। তার জবাব সে (নাসির) কি দিয়েছে তা আমি জানিনা। আমি কয়েক দিন থেকে কুড়িগ্রামে নেই। লেখিত অভিযোগ পড়ে শোনালে তিনি জানান, নাসির এভাবে লেখতে পারেনা। তার সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। আমি বিশ্বাস করতে পারছিনা। তবে তার অভিযোগ মিথ্যা। আমি কুড়িগ্রামে এসে বিষয়টি দেখবো।#

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!