এইবেলা, বড়লেখা ::
বড়লেখার মাধবকুণ্ড ইকোপার্কের প্রধান ফটকের অদুরে অবৈধভাবে দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ করেছে ‘মাধবকুণ্ড পর্যটক সহায়ক’ কমিটি নামে একটি সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ স্থানীয় ৩৫ ব্যক্তি। তবে উপজেলা ও জেলা ভুমি প্রশাসনের দু’দফা তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিলেনি।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ও ইকোপার্ক এলাকায় নৃ-তাত্তি¡ক (খাসিয়া) জনগোষ্ঠীর যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে মাধব ছড়ার পাড়ে অবৈধভাবে দোকান ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেন জনৈক কবির হোসেন। স্থানীয় লোকজন সরকারী ভুমিতে অবৈধ ঘর নির্মাণে বাধা দিলে কবির হোসেন তা অমান্য করে কাজ চালিয়ে যান। মাধবকুণ্ডের সৌন্দর্য রক্ষা ও আদিবাসিদের চলাচলের রাস্তা উদ্ধারের দাবীতে সাধারণ জনগণের পক্ষে ‘মাধবকুণ্ড পর্যটক সহায়ক’ কমিটির সভাপতি হালিম আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান জুমানসহ স্থানীয় ৩৫ ব্যক্তি গত ১৯ জুলাই ইউএনও বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন।
সহকারি কমিশনার (ভুমি) নুসরাত লায়লা নীরা জানান, অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক তিনি স্থানীয় তহশিলদার পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করেন। সরকারি সার্ভেয়ার পাঠিয়ে জরিপ মাপ করে নিশ্চিত হন ভুমিটি সরকারী নয়। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে অধিকতর নিশ্চিত হতে নিজের (এসিল্যান্ড) উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসক, উপজেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের সংশ্লিষ্ট সার্ভেয়ারগন বৃহস্পতিবার দুপুরে যৌথ জরিপ করেও অভিযোগের সত্যতা পাননি।
কবির হোসেন জানান, তিনি ২২ বছর থেকে ব্যক্তি মালিকানাধীন এ ভুমিতে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বসবাস করছেন। স¤প্রতি দোকানঘর স¤প্রসারণের কাজ শুরু করলে প্রতিহিংসাবশত কিছু লোক বিভিন্ন দপ্তরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। কয়েক দফা সরকারি জরিপ মাপে প্রমাণ হয়েছে তাদের অভিযোগ মিথ্যা।
মাধব পুঞ্জির হেডম্যান ওয়ানবর এল গিরি জানান, তার পুঞ্জির লোকজন দীর্ঘদিন ধরে সাচ্ছন্দ্যে এ ভুমির উপর দিয়ে যাতায়াত করছেন। কবিরের দোকান ঘর স¤প্রসারণে তাদের যাতায়াতে কোন সমস্যা নেই।
অভিযোগকারী হালিম আহমদ, আব্দুল মুতলিব ও হামিদুর রহমান জুমান বলেন, তাদের জানা মতে ছড়ার পাড়ের ভুমিটি সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত। ১৪-১৫ বছর পূর্বে উক্ত স্থানের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে ভুমি প্রশাসন দখলদারদের নোটিশ দিয়েছিল। তখন কিছু স্থাপনা অপসারণও হয়। তবে তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসিল্যান্ডের কার্যকর ভুমিকায় তারা সন্তোষ্ট।#
Leave a Reply