দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি :: মো: আলা উদ্দিন। ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়বন গ্রামে বাঁধ ভেঙে পানিতে ভেসে গেছে ১১ বসত ঘর। খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে ১১ পরিবারের লোকজন। রোবার বিকালে সরজমিনে উপস্থিত হয়ে দেখা গেছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। গত শুক্রবার বিকালে অসহায় পরিবারের লোকজনের বসত ঘর ভেঙে ঘরের স্থানে গভীর গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় নতুন করে ঘর তৈরি ও সম্ভব না থাকায় বিপাকে ১১ পরিবারের ৫১ জন শিশু ও নারী পুরুষ।
১১টা পরিবার হলো দক্ষিণ বড়বন গ্রামের মৃত মিম্বর আলীর পুত্র চেরাগ আলী, ইমান আলীর পুত্র কামাল, মৃত কালা মিয়ার স্ত্রী আবিলা খাতুন, মৃত হুছন আলীর পুত্র সুহেল মিয়া, মৃত আলকাছ আলীর পুত্র নুরুল হক, নুরুল হকের পুত্র সেলিম, মিম্বর আলীর পুত্র উকিল আলী, মৃত নবীন আলীর পুত্র সমুল্লা, সমুল্লার পুত্র কালাম, মৃত মুজাফফর আলীর পুত্র ইমান আলী, চেরাগ আলীর পুত্র তারা মিয়া, নুর মিয়ার পুত্র আমির আলী। ঘরে থাকা আসবাবপত্র ধান চাউল, গরু ছাগল তলিয়ে গিয়ে অসহায় পরিবারের লোকজন চরম ভোগান্তিতে তারা।
এব্যাপারে স্থানীয় ব্যবসায়ী লাল মিয়া বলেন, হঠাৎ বাঁধ ভেঙে নিমিষেই ১১টা অসহায় পরিবারের ঘরবাড়ি তলিয়ে গিয়ে সহায় সম্ভল হাঁড়া তারা। এই মূহুর্তে সরকারি সাহায্য সহায়তা না পেলে ঘর হাঁড়া মানুষ গুলো খোলা আকাশের নিচে না খেয়ে মরার উপক্রম। ঘর হাঁড়া আবিলা বেগম বলেন, আমি স্বামী হাড়া, একজন অসহায় মহিলা ছেলে মেয়ে নিয়ে মাথা গুছার ঠাই নেই। প্রধান মন্ত্রী সহ স্থানীয় সংসদ সদস্যের দৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করছি।
ইউপি সদস্য কাছম আলী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে শুকনো খাবার সহ তাদেরকে ইউনিয়ন অফিসের পুরাতন ভবনে থাকার জন্য জায়গা দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ জানান ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি উনাদের শুকনো খাবার ও ইউনিয়ন ভবনে থাকার জায়গা দেওয়া হয়েছে।#
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply