এইবেলা, বড়লেখা ::
বড়লেখায় হাকালুকি হাওরপাড়ের অতিথি পাখির অভয়াশ্রম থেকে পাচারকালে স্থানীয় জনতার সহায়তায় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা ৬০টি পানকৌড়ির বাচ্চা উদ্ধার করেছেন। এসময় পাচারকারীরা পালিয়ে গেলেও তাদের একটি নৌকা জব্দ করা হয়। পরে ইউএনও’র নির্দেশে অতিথি পাখির অভয়াশ্রম ‘হাল্লা পাখিবাড়ি’তেই পানকৌড়ির বাচ্চাগুলো অবমুক্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার হাকালুকি হাওরপাড়ের পাখির অভয়াশ্রম ‘হাল্লা পাখিবাড়ি’ থেকে অসাধু ব্যক্তিরা ব্যাপক সংখ্যক পানকৌড়ির বাচ্চা ধরে খাচায় সংরক্ষণ করে। পরে পাচারাকরীরা এগুলো বিক্রির জন্য নৌকায় করে স্থানীয় কানুনগোবাজারে যাচ্ছিল। লোকজন বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় বনপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তা অভিযান চালিয়ে পাখি ভর্তি দুইটি খাচা থেকে ৬০টি পানকৌড়ির বাচ্চা উদ্ধার ও শিকারিদের একটি নৌকা জব্দ করেন। উদ্ধারের পর এগুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখানে ‘পাখি বাড়ির’ মালিক শাহরিয়ার আহমদ স্বপনের কাছে অবমুক্তের জন্য পানকৌড়ির বাচ্চাগুলো হস্তান্তর করা হয়। এসময় ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন, বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস, হাকালুকি বিট কর্মকর্তা তপন চন্দ্র দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন। পরে রাত ৯টার দিকে হাকালুকি বিটের কর্মকর্তার উপস্থিতিতে পাখিবাড়িতে পানকৌড়ির বাচ্চাগুলো অবমুক্ত করা হয়।
ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান জানান, ‘আইন অনুযায়ী যে কোন পাখি ধরা, শিকার এবং আবদ্ধ রাখা দণ্ডনীয় অপরাধ। শিকারিরা ‘পাখি বাড়ি’ থেকে পানকৌড়ির বাচ্চাগুলো ধরে নিয়ে যাচ্ছিল। স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক হাকালুকি বিটের কর্মকর্তাকে জানালে তিনি এগুলো উদ্ধারে অভিযান চালান। এসময় শিকারিরা অভিযান দলকে দেখে নৌকা ও পাখি রেখে পালিয়ে যায়। পাখিবাড়ির মালিকের মাধ্যমে রাতেই বাচ্চাগুলো সেখানে অবমুক্ত করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে শিকারিদের তথ্য সংগ্রহ করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হবে।’#
Leave a Reply