মনের পশু জবাই দিন || অ আ আবীর আকাশ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শনে রেলওয়ে সচিব- সম্পন্নের ডেডলাইনেও বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় বড়লেখায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নফল রোজা শেষে ইফতার ও দোয়া মাহফিল কুলাউড়ায় আদালতের নির্দেশনা ভঙ্গ করে কৃষকদের জমিতে ফসল রোপণের অভিযোগ ছাতকের ইউএনও’কে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান ফুলবাড়ীতে বিজিবি’র অভিযানে মাদকদ্রব্য ও ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার সহকারি শিক্ষকদের সাটডাউন- বড়লেখায় কক্ষের তালা ভেঙ্গে পরীক্ষা নেওয়ালেন অভিভাবকরা কুলাউড়ার মুরইছড়া  সীমান্তে  ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বিএসএফের গুলিতে  যুবক নিহত কুলাউড়ায় নাগরিক সমন্বয় প্রকল্পের বার্ষিক টাউন হল মিটিং কর্মক্ষেত্রের চাহিদা অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তুলতে হবে- ইউএনও মহিউদ্দিন বড়লেখায় প্রধান শিক্ষককে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা প্রাক্তন ছাত্র গ্রেফতার

মনের পশু জবাই দিন || অ আ আবীর আকাশ

  • বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০২০

Manual3 Ad Code

অ আ আবীর আকাশ :: পবিত্র কোরবানির ঈদ। মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম আনন্দের দিন এই ঈদ-উল-আজহা বা কোরবানির ঈদ।

Manual1 Ad Code

কোরবানির উদ্দেশ্য হল ত্যাগের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। আল্লাহর প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে নিজের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু মনে করে প্রতীকী অর্থে পশু কোরবানি করা। এ ধর্মীয় উৎসব তাই ত্যাগের মহিমা বিজড়িত।

হালাল পশু জবাইর মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ তাদের ধর্মীয় কার্য সম্পাদন করেন। ঈদ-উল-আজহা বা কোরবানির পশু জবাই দেয়া ওয়াজিব। যার সামর্থ্য আছে সে কোরবানি দিবে, যার সামর্থ্য নেই দিবে না। সে ঈদের অন্যান্য নিয়মকানুন মেনে চলবে।দেখা গেছে এ ওয়াজিব পালন করতে গিয়ে আসল ফরজের খবর রাখছে না কেউ। নামাজের খবর নেই গরু নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। এ ফরজ মিস হলে লক্ষ ওয়াজিব দিয়ে পূরণ করা সম্ভব নয়। তাহলে গোস্ত খাওয়ার জন্য ব্যতিব্যস্ত কোরবানির জন্য নয়! কোরবানির জন্য ব্যস্ত হওয়ার আগে ফরজ পালন করা অনেক অনেক বেশী জরুরী।

আল্লাহর জন্য, তার সৃষ্টির জন্য, মানবতার জন্য ত্যাগেও যে আনন্দ আছে, তা ব্যতিক্রমী ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে এ উৎসবে প্রতিফলিত হয়। সে জন্য কোরবানির পশুর সব মাংস কোরবানিকারীকে খাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি।

এর এক-তৃতীয়াংশ গরিব মিসকিনকে, এক-তৃতীয়াংশ আত্মীয়স্বজনকে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। কোরবানির উদ্দেশ্য পশু জবাই করে তার মাংস রান্না করে খাওয়া-দাওয়া করা নয়।

Manual2 Ad Code

এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য হচ্ছে, আল্লাহর পথে, তার সৃষ্টির কল্যাণের পথে সর্বোচ্চ ত্যাগের পরীক্ষায় প্রতীকী অর্থে পশু কোরবানি করার মধ্য দিয়ে ত্যাগের শিক্ষা গ্রহণ করা। মহান আল্লাহ পাক তো আর কোরবানির মাংস চান না। তিনি পরীক্ষা করে দেখতে চান যে, তার বান্দারা তার জন্য, মানুষের জন্য, মানবতার জন্য ত্যাগের পরীক্ষায় পাস করতে পারে কি না।

সঠিকভাবে কোরবানির জন্য বেশি দাম দিয়ে বড় গরু কিনে শোডাউন করার কোনো প্রয়োজন নেই। এ কাজ যারা করেন, তারা কোরবানির অন্তর্নিহিত প্রকৃত তাৎপর্য বুঝতে না পেরেই তা করে থাকেন। ‘আল্লাহকে ভালোবেসে তার রাস্তায় ত্যাগের দৃষ্টান্ত হিসেবে আমি কোরবানি করছি’- এমন উপলব্ধি হৃদয়ে স্থান না পেলে সে কোরবানি শুধু গরু জবাই করে মাংস খাওয়ার ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোরবানি নির্ধারণ করেছি, যাতে তারা আল্লাহর দেয়া চতুস্পদ জন্তু জবাই করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। অতএব তোমাদের আল্লাহ তো একমাত্র আল্লাহ, সুতরাং তারই আজ্ঞাবাহী থাক এবং বিনয়ীদের সুসংবাদ দাও।’ (সুরা হজ-৩৪) অগণিত হাদিসে রাসুল সা. কোরবানির ফজিলত ও এর বিধিবিধান আলোচনা করেছেন।

আমাদের সমাজে একটা মত প্রচলিত হয়ে গেছে যে, ‘কোরবানি না দিতে পারলে লজ্জা লাগা।’ আদতে এটা মোটেও লজ্জার কিছু নেই। অপরদিকে যে বা যারা কোরবানি দিবে তাদের কাছে গর্ব বা অহংকারবোধ হয়। এটাও ঠিক নয়। এর কারণ পশু জবাইর মাধ্যমে অহংকার, গর্ব করার কোনো ইস্যু দেখতে পাচ্ছি না। যারা পশু জবাই দিবে আর যারা পশু জবাই দিবে না তাদের মধ্যে যে ব্যক্তি পশু জবাই দিবে তার দায়িত্ব কর্তব্য বেশি। তার উচিত যে কোরবানি দিল না তার ঘরে গোপনে গোপনে গোস্ত পৌঁছে দেয়া। আদতে কি তা হচ্ছে?

আল্লাহ পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, কোরবানির পশুর মাংস, রক্ত কিছুই আল্লাহর দরবারে পৌঁছে না; পৌঁছে একমাত্র তাকওয়া। আর এই তাকওয়ার উপস্থিতি না থাকলে পশু কোরবানির কোনো সার্থকতা নেই। এজন্য নিষ্পাপ পশুর গলায় ছুরি চালানোর আগে নিজের মনের পশুটাকে কোরবানি দিতে হবে। বছরের পর বছর ধরে মনের কোণে ঘাপটি মেরে থাকা অসভ্য পশুটি জবাই না দিতে পারলে গতানুগতিক পশু কোরবানিতে কোনোই ফায়দা নেই।

পবিত্র ঈদকে কেন্দ্র করে শহর থেকে গ্রামে শিশু-কিশোর আর তরুণদের বিরাজ করছে বাড়তি আনন্দ। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, আনন্দের বিচিত্র চিত্র। কোরবানির পশুর প্রতি বাড়তি যতœ-আত্মি আর পশুকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের গল্প চলছে মুখে-মুখে। সড়কে কোরবানির উদ্দেশ্যে মানুষের জিজ্ঞাসু দৃষ্টি— দাম কত? ঈদের সকালে এই চিত্র নেবে ভিন্নরূপ। কোরবানি দেওয়া হবে পশু, ভাগ হবে মাংস। ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা বলছেন— কোরবানির পশুর মাংস তিন ভাগে ভাগ করা উত্তম। একভাগ দরিদ্রদের, একভাগ যিনি কোরবানি দেবেন তার, আরেক ভাগ আত্মীয়-স্বজনদের জন্য বরাদ্দ করা ভালো। সর্বোপরি, কোরবানির মূল শিক্ষা হচ্ছে— আত্মত্যাগের শিক্ষা। এই শিক্ষায় মহীয়ান হয়ে ওঠবে মুসলিম উম্মাহ্।

আজকাল আমাদের সমাজে কোরবানি অনেকটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। বিত্তশালীদের অর্থের দাপট দেখানোর বিশেষ সুযোগ এটা। তাকওয়ার পরিবর্তে মনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা পশুটা এই কোরবানি উপলক্ষে আরও হৃষ্টপুষ্ট হয়ে ওঠে। কে কত বেশি দামের কোরবানি দিচ্ছেন এর প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার নিয়তে কেউ এক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করলে সেটা নিশ্চয় ভালো জিনিস। তবে লৌকিকতায় কলুষিত প্রতিযোগিতার কোনো মূল্যায়ন আল্লাহর কাছে নেই। প্রত্যেকে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানি বা বিসর্জন দেবে এটাই আল্লাহ চান। কে কত দামি পশু কোরবানি করেছে সেটার দিকে আল্লাহর কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। তিনি শুধু দেখেন মানুষের অন্তর। দুনিয়ার সব মানুষকে ধোঁকা দিলেও কোনো অন্তর আল্লাহকে ধোঁকা দেয়ার সুযোগ পাবে না।

বছর ঘুরে ঈদুল আজহা আমাদের দুয়ারে হাজির। প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা এই উৎসবে মেতে উঠবো সেটাই স্বাভাবিক। ধর্মস্বীকৃত এই উৎসব উদযাপনে নেই কোনো বাধা নিষেধ। তবে ধর্মীয় এই উৎসবের আমেজটা যেন নষ্ট না হয়; এর প্রকৃত দাবি যেন প্রতিফলিত হয় সে দিকেও আমাদের সবার নজর রাখতে হবে। ঈদুল আজহার ত্যাগের যে মহান শিক্ষা সেটা ব্যক্তিজীবনে ধারণ করতে হবে; সেই শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে হবে সমাজ থেকে রাষ্ট্রে। ত্যাগের মানসিকতা গড়ে তুলতে পারলে আমাদের পরিবার থেকে রাষ্ট্র সবই আরও সুন্দর হবে নিঃসন্দেহে।

Manual3 Ad Code

মুসনাদে আহমদ ও ইবনে মাজাহর একটি হাদিসে হজরত জায়েদ ইবনে আরকাম সূত্রে বর্ণিত, একবার সাহাবায়ে কেরাম রাসুল সা.কে প্রশ্ন করলেন, কোরবানি কী? উত্তরে আল্লাহর রাসুল সা. বলেন, এটি তোমাদের ধর্মীয় পিতা হজরত ইবরাহিম আ. প্রবর্তিত একটি সুন্নাত। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, এতে আমাদের কী লাভ হবে? নবীজি সা. বললেন, প্রতিটি পশমের বিনিময়ে তোমাদের জন্য রয়েছে নেকি। সাহাবায়ে কেরাম পুনরায় প্রশ্ন করলেন, ভেড়া এবং দুম্বার ক্ষেত্রেও কি এই সওয়াব পাওয়া যাবে? রাসুল সা. উত্তর দিলেন, হ্যাঁ, সওয়াব পাবে। এমনকি প্রতিটি পশমের বিনিময়ে সওয়াব দেওয়া হবে।

যারা পশু জবাই দিচ্ছেন বিশেষ করে কর্মজীবী,পুলিশ, রাজনৈতিক নেতা, চিকিৎসক, আমলা, ঠিকাদার, উকিল,সরকারি চাকরিজীবী,সাংবাদিক তারা কি নিজেরা অত্যন্ত সুক্ষভাবে একবার লক্ষ্য করেছেন যে কোরবানি দিচ্ছেন তার টাকায় কোনো ভেজাল আছে কিনা!
গরিব মজলুম অসহায়ের হক মেরে কোরবানির টাকা জমিয়েছেন কি? ঘুষ দুর্নীতি অনিয়ম বা কলমের খোঁচায় চুরি করে এমনকি দায়িত্ব-কর্তব্য যথাযথ পালন না করে শুধু শুধু টাকা তুলে কোরবানি দিচ্ছেন কি? কোনো পাওনাদার আপনার কাছে পাওনা রয়েছে কি? কাউকে ঠকিয়েছেন কখনো? তাহলে জেনে রাখুন আপনার পশু জবাই হবে গোস্ত খাওয়ার জন্য কিন্তু কোরবানি হবে না। এ কথাগুলোতে সন্দেহ থাকলে কোনো আলেম-ওলামার কাছ থেকে প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে নিন।

Manual2 Ad Code

কোরবানির আসল বিষয় হচ্ছে ত্যাগ ও আত্মবিসর্জন। নিজেকে স্রষ্টার সামনে নিঃশর্তভাবে সমর্পণ। আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন তার সন্তুষ্টির জন্য পশু জবাই করতে, কোনো লাভ-ক্ষতির হিসাব না করে তা বাস্তবায়ন করাই হলো আনুগত্য। নিজের ছেলেকে জবাই করার মতো কঠিন নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল হজরত ইবরাহিম আ.কে। সেই মহাপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ইবরাহিম আ. খলিলুল্লাহ বা আল্লাহর বন্ধু হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। কোরবানি হলো সুন্নতে ইবরাহিমি; প্রিয় সন্তানকে জবাই করার মতো কঠোর নির্দেশনা নয়, পশু জবাইয়ের মাধ্যমেই আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা সম্ভব। তবে সেটা নির্ভর করে নিয়ত ও ইখলাসের ওপর।

পশু কোরবানি দিয়ে কলিজা বা শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, গোস্ত ফ্রিজ ভরালে আর গরিবের মাঝে যত্সামান্য গোস্ত দিয়ে দায়িত্ব পালন করলেন; তাহলেও কোরবানি হবে না। কোরবানি দিলে সহিহ শুদ্ধরুপে ইসলামী নিয়ম কানুন মেনে বুঝে তারপর কোরবানি দিন।গোশত খাওয়ার জন্য কোরবানি দেয়ার দরকার কি!

মানুষের মাঝে নিজের ব্যক্তিত্ব জাহির করার হীন উদ্দেশ্যে কোরবানী দিলে হবে না। যেহেতু রাজনীতি করেন যারা তাদের কোনো বেতন ভাতা নেই। সরকারি কোষাগার থেকে আসা গরিবের জন্য বরাদ্দ মেরে, চাঁদাবাজি, গলাবাজি, ধান্দাবাজি, তদবির করে, নির্বাচনে চেয়ারম্যান মেম্বার বানাবেন বলে টাকা নিয়ে কোরবানি দিলে হবেনা।
ঠিকাদাররা সরকারি কাজে অনিয়ম করে টাকা বাঁচিয়ে কোরবানি দিলেও হবে না।

যারা চাকরিজীবী, ফাইল ঠেকিয়ে, কাজ না করে, সরকারি কাজে অনিয়ম করে টাকা নিয়ে কোরবানির দিলেন তো কিছুই হবে না। কোরবানি দিতে হলে একনিষ্ঠ পরিশ্রমের টাকা, ঘামে ভেজা টাকায় পশু কোরবানি দিলেন তো মনের পশুও কোরবানি হয়ে গেল। অন্যথায় সবই বৃথা। লোকদেখানো, আত্মীয় স্বজনকে খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে দেয়া কোরবানি মহান আল্লাহর দরবারে পৌঁছে না। বরং উল্টো গুনাগার হবেন। কারণ জীব হত্যা মহাপাপ। কোরবানির নামে প্রহসন নয়। আত্মীয় স্বজনকে খাওয়ানোর জন্য কোরবানির নামে পশু জবাইয়ের নাটক করবেন না। স্বচ্ছ হৃদয়ে, খাঁটি নিয়তে কোরবানি করলেই আল্লাহর দরবারে তা কবুল হবে। অন্যথায় এই ‘রক্তপাতে’ কোনো লাভ নেই। ভুলে গেলে চলবে না, ভালোবাসার ক্ষেত্রে উপহারের দাম বা আকৃতি কোনো ব্যাপার নয়; মূল বিষয় হল, দুই প্রেমিকের পরস্পরের প্রতি হৃদয়ের আকর্ষণ।

আমাদের কোরবানি কি আমাদের মধ্যে আল্লাহর প্রতি তেমন প্রেম, তার সৃষ্টির প্রতি তেমন ভালোবাসা সৃষ্টি করতে পারছে? যদি না পারে, তাহলে বুঝতে হবে, আমাদের কোরবানি শুধু পশু জবাই করে মাংস খাওয়ার মধ্যেই সীমিত হয়ে পড়েছে। প্রকৃত অর্থে আমাদের কোরবানি হয়তো কবুল হচ্ছে না।

আল্লাহপাকের দরবারে আমাদের কোরবানি তখনই কবুল হবে, যখন আমরা যৌথভাবে বনের ও মনের পশুকে একত্রে জবাই করতে পারব। আত্মপ্রচার, গর্ব, অহংকার, নিজেকে বড় করে দেখানো, বড় গরু কিনে শোডাউন করে নিজের বড়লোকি জাহির করার বাসনা মনের মধ্যে নিয়ে একাধিক পশু জবাই করলেও কোরবানি কবুল হবে না।

মনের মধ্যে অন্যের ক্ষতি করে নিজে লাভবান হওয়ার পাশবিকতাকে উজ্জীবিত করে বনের পশু কোরবানি করলে কোরবানি হবে না। বনের পশুর সঙ্গে মনের মধ্যে অন্যকে খুন, ধর্ষণ করার পাশবিকতা থাকলে তাকেও কোরবানির পশুর সঙ্গে জবাই করে দিতে হবে।

মুসলমান হিসেবে মহান আল্লাহ পাক আমাদেরকে সবাইকে সহিহ্ নেক আমলের মাধ্যমে পরিশুদ্ধ কাজের বিনিময়ে প্রাপ্ত অর্থে অন্তরের সকল কালিমা দূর করে মনের পশুকে কোরবানী দেয়ার পাশাপাশি পশু কোরবানী দেয়ার তৌফিক দান করুক, আমীন।

লেখক:
কবি প্রাবন্ধিক কলামিস্ট ও সাংবাদিক।
সম্পাদক: আবীর আকাশ জার্নাল

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!