এইবেলা, বিপনন :: কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার খছরুজ্জামান খছরু রাস্তার প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের ঘটনা আড়াল করতে সংবাদ সম্মেলনের নামে মিথ্যাচার করেছে। এছাড়া লাইভে এসব মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো: আমিন উদ্দিন।
তিনি এক প্রতিবাদ লিপিতে জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত সুনামের সহিত এলাকায় বিভিন্ন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। যা এলাকার সর্বমহলের জ্ঞাত। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, সংবাদ সম্মেলনে আমার নাম ও আমার ব্যবসায়ীক সহযোগিদের নাম জড়িয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচীর আওতায় ভূকশিমইল ইউনিয়নের কওমী মাদ্রাসা পাশ দিয়ে দক্ষিণ চকের সংযোগ রাস্তা মেরামতে দেড় লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। ওই প্রকল্পে ইউপি সদস্য খছরুজ্জামান খছরু’র মাধ্যমে কাজটি করেন এলাকার ঠিকাদার শামীম আহমদ ও সুরমান মিয়া।
তারা দুজনেই আমাদের ও সাংবাদিকদের জানান, ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার কাজে তারা মেম্বারের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা পেয়েছেন। এছাড়া ইউনিয়নের কাইরচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ব্রিজের মাটির ভরাট কাজের জন্য টিআর প্রকল্প থেকে ৫টন চাল বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু এই প্রকল্পে কোন কাজ না করে বিল উত্তোলন করেন ইউপি সদস্য খছরুজ্জামান খছরু। যা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আমার নাম উল্লেখ করে বলেছেন, এই দুই প্রকল্পে ইউপি সদস্য খছরুজ্জামান আমাকে নাকি এক্সেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কাটার জন্য অগ্রিম ২ লাখ করে ৪ লাখ ও পরবর্তীতে ১ লাখসহ মোট ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। প্রকৃতপক্ষে, আমি এক্সভেটর মালিক হিসেবে ও আরো দুই এক্সভেটর মালিকের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেয়ার কারণে আমাদের অনুপস্থিতিতে ইউপি সদস্য খছরুজ্জামান তাঁর সহযোগিদের নিয়ে ১০টি গাড়ির চাবি নিয়ে যান। এতে প্রায় ১৫দিন ধরে এক্সেভেটর ও ট্রাক না চলায় আমরা আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হই। নিরুপায় হয়ে আমরা ৩টি এক্সেভেটরের মালিক প্রায় ৬ লক্ষ টাকা মেম্বারকে দিয়ে গাড়ির চাবি নিয়ে আসি। পরবর্তীতে আমরা এক্সেভেটর দিয়ে আমাদের ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাই। এদিকে আমি দীর্ঘদিন থেকে ভূকশিমইল ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ১০ টাকা কেজি ধরে চাল অত্যন্ত সুশৃংখলভাবে সুনামের সহিত ব্যবসা পরিচালনা করছি। প্রতিবার চাল বিতরণের সময় সরকারী ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে এই কার্যক্রম চালানো হয়।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, ওই মেম্বারকে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির কার্যক্রমে ব্যবসায়িক অংশীদার না করায় আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ তুলেন ওই সংবাদ সম্মেলনে। এতে সামাজিকভাবে আমার মর্যাদাহানি হয়েছে। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ইউপি সদস্য খছরুজ্জামান খছরু জামায়াতের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তিনি কালো টাকা ছড়িয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে একাধিক জাতীয় দৈনিক যুগান্তর, সিলেটের দৈনিক উত্তরপূর্ব, দৈনিক একাত্তরের কথা ও অনলাইন এইবেলায় সংবাদ প্রকাশিত পত্রিকায় হয়েছে। #
Leave a Reply