কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :: কুড়িগ্রামের সীমান্তবর্তী উপজেলা ফুলবাড়ী। স্বাধীনতা অর্জনের দুই বছরের মাথায় পিছিয়ে পড়া এ জনপদে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার প্রত্যয়ে ১৯৭৩ সালে গড়ে তোলা হয় এ বিদ্যাপীঠ।
উপজেলার সর্ববৃহৎ এ কলেজটি প্রতিষ্ঠায় সেসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন সমৃদ্ধ সোনার বাংলার সপ্নদোষ্টা বঙ্গবন্ধুর সহচর, মুক্তিযোদ্ধা ও এখানকার মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকগণ।
সেই কলেজটি আজ সমৃদ্ধ একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়ে দরিদ্র এ অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে। সাড়ে ৫ একরের বেশি জমিতে গড়ে ওঠা কলেজটি থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিচারক, আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।
কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা শাখা ও স্নাতক পর্যায়ে বিএ, বিএসএস, বিবিএস, বিএসসি এবং রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে ।
এছাড়াও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডর আওতায় উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫টি ট্রেড চালু রয়েছে। বর্তমান ২ হাজার ১৯ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদানের জন্য কলেজটিতে ৮৫ জন শিক্ষক কর্মচারী রয়েছে বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
সার্বিক শিক্ষার পরিবেশ, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল, কোকারিকুলাম একটিভিটিজ বিবেচনায় কলেজটি বিগত ৫ বছর যাবৎ উপজেলার শ্রেষ্ঠ কলেজের স্বীকৃতি পাচ্ছে।
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৩ প্রতিযোগিতার ফলাফলে এবছরও উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পেয়েছে কলেজটি।
শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধানের স্বীকৃতি পেয়েছেন ওই কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম, কলেজ ও কারিগরি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন সহকারী অধ্যাপক হ,শ,ম জয়নুল আবেদীন এবং সহকারী অধ্যাপক আজাদ হোসেন, কলেজ ও কারিগরি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী পৌরব কুমার রায় ও রুক্সি খন্দকার, শ্রেষ্ঠ রোভার গ্রুপ ও শ্রেষ্ঠ রোভার শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন ওই কলেজ সাবিনা ইয়াছমিন।
এছাড়াও ক্বেরাত, হামদ/নাত, বাংলা রচনা, বাংলা কবিতা আবৃত্তি, বিতর্ক, দেশাত্মবোধক গান, নজরুল সঙ্গীত, লোক সঙ্গীত, ইংরেজি বক্তব্য, নির্ধারিত বক্তৃতা, লোক নৃত্য প্রতিযোগিতায় ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে।
এ বিষয়ে ফুলবাড়ী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম রিজু জানান, এটি একটি পরিপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
দক্ষ এবং দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরি করতে আমরা বিভিন্ন কোকারিকুলাম নিয়মিত পরিচালনা করে থাকি। উপজেলার সর্ববৃহৎ এ কলেজটি জাতীয়করণের জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
জাতীয়করণ হলে পশ্চাৎপদ এ অঞ্চলের মানুষ সহজেই মানসম্মত শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে।#
Leave a Reply