একনেকে ‘বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কের অনুমোদন-বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে উন্মোচিত হবে নতুন দিগন্ত-পরিবেশমন্ত্রী একনেকে ‘বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কের অনুমোদন-বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে উন্মোচিত হবে নতুন দিগন্ত-পরিবেশমন্ত্রী – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
৩ মাস থেকে ১২ চা বাগানের শ্রমিকদের রেশন-বেতন বন্ধ কুলাউড়ার নবারুন আদর্শ বিদ্যাপীটের সভাপতির প্রবাস গমন উপলক্ষে সংবর্ধনা প্রদান কমলগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো খাসিয়াদের বর্ষবিদায় উৎসব “সেং কুটস্নেম” বড়লেখায় শিক্ষা ও সেবা ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা ও পুরস্কার বিতরণ কুড়িগ্রামে শ্রমিক লীগ নেতাকে শ্রমিক দলে রাখার পায়তারা বড়লেখায় পৌর যুবদল নেতার মামলায় ২ যুবলীগ নেতা গ্রেফতার বড়লেখায় শিক্ষক ও সাংবাদিক মইনুল ইসলামের ইন্তেকাল : শোক প্রকাশ নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিটার মিনিবার নাইট ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন এফসি ডার্ক নাইট একজন মেহেদী হাসান রিফাতের গল্প : স্বপ্ন থেকে সাফল্যের পথে

একনেকে ‘বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কের অনুমোদন-বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে উন্মোচিত হবে নতুন দিগন্ত-পরিবেশমন্ত্রী

  • বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৩

বড়লেখা প্রতিনিধি :

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপি বলেছেন, মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক নির্মাণের ফলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে। সাফারি পার্ক নির্মাণের ফলে দেশ-বিদেশের পর্যটক আসবে, কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে এবং সর্বোপরি এলাকার মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটবে। তিনি বলেন, সাফারি পার্ক এলাকায় বসবাসরতদের সুরক্ষা দিয়েই এখানে সাফারি পার্ক নির্মাণ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) একনেক সভায় মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলায় একটি সাফারি পার্ক নির্মাণের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক, মৌলভীবাজার (১ম পর্যায়)’ প্রকল্পটি অনুমোদনের পর তার সরকারি বাসভবন হতে নির্বাচনী এলাকার (বড়লেখা ও জুড়ী) জনগণের উদ্দেশ্যে এক ভিডিও বার্তায় পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, একনেক সভার মন্ত্রিবর্গ ও সদস্যগণ, পরিবেশ সচিব, বন অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এই সাফারি পার্কে বাংলাদেশের বিপদাপন্ন ও বিপন্ন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লাঠিটিলার বনভূমিকে জবর-দখলমুক্ত করে বন্যপ্রাণী বিশেষ করে হাতি, মেছো বিড়াল, বনরুই, খাটলেজি বানর, আসামি বানর, গন্ধগকুল, মায়া হরিণ, চশমাপরা হনুমান, ভল্লুক, সজারু ইত্যাদির বসবাস উপযোগী প্রাকৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। হাতি উদ্ধার কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে অসহায় এতিম ও উদ্ধারকৃত মহা-বিপন্ন হাতির চিকিৎসা প্রদান করা হবে। বিপদাপন্ন প্রজাতির বাঘ, গন্ডার, সিংহ, কুমির, ঘড়িয়াল, প্যারা হরিণ, সাম্বার হরিণ, নীলগাই, ভল্লুক ইত্যাদি বন্যপ্রাণীর নিরাপদ আশ্রয়স্থল গড়ে তোলা হবে।

বনমন্ত্রী বলেন, আহত ও উদ্ধারকৃত বন্যপ্রাণীর চিকিৎসার নিমিত্তে বন্যপ্রাণী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ে জনগণের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা হবে। জলচর ও পরিযায়ী পাখির আবাসস্থল উন্নয়নের জন্য পুকুর ও লেক খনন এবং বন্যপ্রাণীর জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আবাসস্থল উন্নয়নের জন্য ফলের গাছ, তৃণভূমি ও বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করা হবে। বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ প্রজাতির সংরক্ষণে ১ লাখ চারা রোপণ, ভূমিক্ষয় রোধে পাহাড়ের ঢালে ও পাদদেশে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও, এখানে নেচার হিস্ট্রি মিউজিয়াম ও প্রকৃতিবৃক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। তিনি আরও জানান, মাধবকু- ইকোপার্কে দুই কিলোমিটার কেবল কার স্থাপনের প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews