মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার :: বিশ্বব্যাপী সমগ্র ইন্সটিটিউট সমূহে পরিচালিত মানসম্মত গবেষণা কার্যক্রমের উপর নির্ভর করে সম্প্রতি আলফার-ডগার সাইন্টিফিক ইনডেক্স “এডি সাইন্টিফিক ইনডেক্স ২০২৪” শিরোনামে একটি র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। র্যাঙ্কিং অনুযায়ী, দেশের ২০৭টি ইন্সটিটিউটের মধ্যে সাভারে অবস্থিত ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ (নিটার) এর অবস্থান ১৬তম এবং সমগ্র বিশ্বের ২০৬টি দেশের ২৯৮৬টি ইন্সটিটিউটের মধ্যে নিটারের অবস্থান ২২৯২তম।
এডি সাইন্টিফিক ইনডেক্স মূলত বিগত ৫ বছরের নয়টি প্যারামিটারের উপর ভিত্তি করে এই র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে থাকে এবং মোট ১২টি বিষয় এই র্যাঙ্কিং এর অন্তর্ভুক্ত। সেগুলো হলো- এগ্রিকালচার এন্ড ফরেস্টি, আর্টস, ডিজাইন এন্ড আর্কিটেকচার, বিজনেস এন্ড ম্যানেজমেন্ট, ইকোনোমিকস এন্ড ইকোনোমেট্রিক্স, এডুকেশন, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি, হিস্ট্রি, ফিলোসোফি, থ্রিওলোজি, ল এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ, মেডিক্যাল এন্ড হেলথ সায়েন্স, ন্যাচারাল সায়েন্স, সোশ্যাল সায়েন্স। বিশ্বব্যাপী ২০৬ টি দেশের ২৯৮৬টি ইন্সটিটিউটের মধ্যে এই র্যাঙ্কিং করা হয়েছে।
র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ইন্সটিটিউট গুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে আছে বাংলাদেশ উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্র (বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ৩০৮), দ্বিতীয় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ১২১৩), তৃতীয় বাংলাদেশ এটমিক এনার্জি কমিশন (বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ১৩৮২), চতুর্থ পথিকৃৎ ইন্সটিটিউট অফ হেলথ স্টাডিজ (বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ১৫৪৪), পঞ্চম বাংলাদেশ কাউন্সিল অফ সাইন্টিফিক এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিয়াল রিসার্চ (বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ১৭৩০), ষষ্ঠ মিলিটারি ইন্সটিটিউট অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজি (বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ১৭৯৩), সপ্তম বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ নিউক্লিয়ার এগ্রিকালচার (বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ১৮৩৯), অষ্টম বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিসার্চ ইন্সটিটিউট (বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ১৮৬২), নবম ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ বায়োটেকনোলজি (বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ১৯৪৩), দশম স্থানে বাংলাদেশ ফিসারিজ রিসার্চ ইন্সটিটিউট (বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ১৯৬২)।
র্যাঙ্কিং পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ-নিটার এর ৩০ জন গবেষকদের মধ্যে দেশের সেরা ৩০% এর মধ্যে আছে একজন গবেষক, দেশ-সেরা ৪০% এর মধ্যেও আছে একজন গবেষক, দেশ-সেরা ৫০% এর মধ্যেও আছে একজন গবেষক, দেশ-সেরা ৬০% এর মধ্যে আছে তিনজন গবেষক, দেশ-সেরা ৭০% এর মধ্যে আছে নয়জন গবেষক, দেশ-সেরা ৮০% এর মধ্যে আছে ১২ জন গবেষক, দেশ-সেরা ৯০% এর মধ্যে আছে ১৯ জন গবেষক।
এছাড়াও, ইন্সটিটিউট টির সেরা গবেষক হিসেবে নাম উঠে এসেছে ইন্সটিটিউটটির কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর আনিসুর রহমানের।#
Leave a Reply