এইবেলা, বড়লেখা :
বড়লেখা উপজেলার দুবাই প্রবাসি আগর-আতর ব্যবসায়ি রেমিটেন্স যোদ্ধা রেজাউল ইসলাম রেজার গাড়ি থামিয়ে মারধর করে এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছেদুই যুবক। এরা হচ্ছে জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর গ্রামের মুস্তাকিম আলীর ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার ও একই গ্রামের বারিক মিয়ার ছেলে আহমেদ ইমরুল অভি।
বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে জুড়ী নাইট চৌমুহনীতে এই সন্ত্রাসী হামলা ও টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে। ভোক্তভোগি প্রবাসি রেজা জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রাতেই তাদের বিরুদ্ধে জুড়ী থানায় মামলা করেছেন।
মামলার অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলার গাংকুল গ্রামের দুবাই প্রবাসি আগর-আতর ব্যবসায়ি রেজাউল ইসলাম রেজা দুবাইয়ে আগর-আতর রপ্তানির কাজে গত ৮ এপ্রিল দেশে আসেন। বুধবার বিকেলে ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক কাজে নিজের ব্যক্তিগত জীপ চালিয়ে কুলাউড়া যান। কুলাউড়ায় জরুরি কাজ শেষে সন্ধ্যার পর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। সন্ধ্যা ৭টা মিনিটের দিকে তিনি কুলাউড়া রেলগেইট ক্রস করেন। মানিকসিংহ এলাকা থেকে অজ্ঞাত মোটারসাইকেল আরোহি দুই যুবক তার গাড়ি অনুসরণ করতে থাকে। জুড়ী নাইট চৌমুহনীর একটু দক্ষিণে আসা মাত্র এই দুই যুবক তাদের মোটরসাইকেল প্রবাসির জীপের সামনে নিয়ে গাড়ির গতিরোধ করে। কোন কিছু বোঝার আগেই তারা প্রবাসি রেজাউল ইসলাম রেজাকে মারধর করতে থাকে। অশ্লীল গালিগালাজ করে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে কিল ঘুষি মারতে থাকে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তারা পকেটে থাকা এক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। মোবাইল ফোন ও গাড়ির চাবি নিতে ধস্তাদস্তির একপর্যায়ে হাল্লা চিৎকারে পথচারিরা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়।
হামলার শিকার আহত প্রবাসি ব্যবসায়ি রেজাউল ইসলাম রেজা জানান, হঠাৎ দুই যুবক দ্রæত গতিতে আমার গাড়ির সামনে এসেই মোটরসাইকেল ব্রেক করে। আমি গাড়ি থামাতেই তারা আমাকে মারধর করতে থাকে। কারণ জানতে চাইলেও বলে আমি নাকি তাদের সাথে বেয়াদবি করেছি। ড্রাইভিং সিট থেকে জোরপূর্বক আমাকে নামিয়ে অশ্লীল গালিগালাজ করে গাড়ির চাবি ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে চায়। ধস্তাধস্তা করে গাড়ির চাবি ও মোবাইল ফোন কোনো মতে নিয়ন্ত্রণে রাখলেও তারা আমার পকেটে থাকা এক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তাদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে থানায় মামলা করেছি।
জুড়ী থানার এসআই রকিব জানান, এই ঘটনায় ভোক্তভোগি রেজাউল ইসলাম দুই জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য রাতেই অভিযান চালানো হয়। পুলিশের অভিযানের খবর পেয়ে তারা গা ঢাকা দিয়েছে। তবে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply