এইবেলা বিনোদন :: জ্যোতি সিনহা অভিনিত মণিপুরি থিয়েটারের জনপ্রিয় প্রযোজনা ‘কহে বীরাঙ্গনার’ শততম মঞ্চায়ন ৩১ মে শুক্রবার। শুভাশিস সিনহা নির্দেশত নাটকটিকে একাই চার নারী চরিত্রে অভিনয় করে থাকেন জ্যোতি সিনহা।
২০১০ সালের ২৪ ডিসেম্বর মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ঘোড়ামারা গ্রামে মণিপুরি থিয়েটারের নিজস্ব থিয়েটার স্টুডিও নটমণ্ডপে উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়েছিল নাটকটির। এরপর দেশের বিভিন্ন শহরের পাশাপাশি দেশের বাইরেও মঞ্চায়িত হয়েছে ‘কহে বীরাঙ্গনা’। এরই মাঝে শততম প্রদর্শনীর সামনে দাঁড়িয়ে প্রযোজনাটি। ৩০ মে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে ৯৯তম প্রদর্শনী। পরদিন একই সময় ও একই স্থানে হবে নাটকটির শততম প্রদর্শনী।
শততম মঞ্চায়নের আগে থাকছে মুক্ত আলোচনা পর্ব। নাটকটি নিয়ে দর্শকের সঙ্গে কথা বলবেন ‘কহে বীরাঙ্গনার’ সঙ্গে জড়িত শিল্পীরা। এ ছাড়া এ দিন অভিনেত্রী জ্যোতি সিনহাকে সম্মাননা প্রদান করবে মণিপুরি থিয়েটার।
জ্যোতি সিনহা বলেন, ‘যেকোনাে প্রযােজনার শততম মঞ্চায়ন আনন্দের। নাটকের একক অভিনেত্রী হিসেবে সেদিন আমাকে সম্মাননা দেওয়া হবে জানতে পেরে খুবই ভালাে লাগছে। ২৭ বছরের অভিনয় জীবনে এ সম্মাননা আমার কাছে পরম আনন্দের।
নির্দেশক শুভাশিস সিনহা বলেন, ‘যেকোনো নাট্যদলের জন্য কোনো প্রযোজনার শততম প্রদর্শনী করতে পারাটা দারুণ আনন্দের। আর এই পথচলায় যদি গ্রাম থেকে শুরু করে শহরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রশংসা প্রাপ্তি ঘটে, তবে তা অন্যরকম ভালো লাগা তৈরি করে। কহে বীরাঙ্গনার ক্ষেত্রে তা-ই হয়েছে।’
জ্যোতি সিনহা অভিনিত কাজগুলো হলো,
মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ অবলম্বনে তৈরি হয়েছে কহে বীরাঙ্গনা। নাটকের চার পৌরাণিক চরিত্র শকুন্তলা, দ্রৌপদী, দুঃশলা ও জনার প্রেম, বিরহ, ঈর্ষা, বেদনা, ক্ষোভ আর দ্রোহের মধ্য দিয়ে নারীর বহুমাত্রিক রূপের নান্দনিক প্রকাশ ঘটেছে। যুদ্ধ নয়, প্রেমেই মানুষের মুক্তি, এটিই এ নাটকের মূলকথা। চার নারী চরিত্রে একক অভিনয় করেছেন জ্যোতি সিনহা। এ ছাড়া মঞ্চে ভাবমুদ্রা রূপায়ণে থাকবেন স্বর্ণালী সিনহা, শ্যামলী সিনহা, ভাগ্যলক্ষ্মী সিনহা, অর্থী সিনহা, মৌমিতা সিনহা, আনন্দিতা প্রমুখ।
Leave a Reply