বড়লেখা প্রতিনিধি:: গত সপ্তাহ খানেক ভারি বৃষ্টিপাত না হওয়ায় হাকালুকি হাওড়পাড়ের বড়লেখা, কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র থেকে আশ্রিত দুর্গত পরিবার বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু এরই মাঝে সোমবার ও মঙ্গলবারের টানা ভারিবর্ষণে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জুড়ী ও সোনাই নদীর বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। তিন উপজেলার দু’লক্ষধিক পানিবন্দী মানুষ পাচ্ছে না পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা।
সরেজমিনে বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর, বর্নি ও সুজানগর ইউনিয়নের বিভিন্ন দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, যে সকল বাড়িঘরের উঠোন ও গ্রামীণ সড়ক থেকে বন্যার পানি কিছুটা নেমেছিল সেগুলোতে ফের পানিতে তলিয়ে গেছে। আবারও বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে দাসেরবাজার-বাছিরপুর এলজিইডি রাস্তা।
দাসেরবাজার-ফকিরবাজার এলজিইডি রাস্তার বিভিন্ন স্থান ফের তলিয়ে গেছে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগ বেড়েছে এসব এলাকার মানুষের। উপজেলার ৩৩টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া সাড়ে ৪ শতাধিক দুর্গত পরিবারের মানুষের খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, ১৮ জুনের পর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বড়লেখার ১০ ইউনিয়নের বন্যার্তদের জন্য ১২৫ মেট্টিক টন চাল, আশ্রয় কেন্দ্রের জন্য ১৪ কেজি ওজনের ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, ২৫ কেজির ৬৯ প্যাকেট গো-খাদ্য বরাদ্দ পাওয়া যায়। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। ফের বন্যার অবনিতে ভোক্তভোগিদের মাঝে দেখা দিয়েছে খাদ্যসহ নানা সংকট।
বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজরাতুন নাঈম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানান, বন্যার অবনতিতে বড়লেখার ১০ ইউনিয়নে আরো ৫০ টন জি.আর চাল বরাদ্দ পেয়েছেন। তা বন্টন কার্যক্রম চলছে। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য শুকনো খাবার ও শিশুখাদ্য প্রস্তুত রয়েছে। সোমবার থেকে এসিল্যান্ড শিশুখাদ্য বিতরণ করছেন।
caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6085caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6085
Leave a Reply