এইবেলা, বিজ্ঞাপন :: কুলাউড়ায় দীর্ঘ ৫০ বছর পর রেজান মিয়ানামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির দখলে থাকা ৪৮ শতক কৃষি জমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ফিরে পেলেন সিরাজ মিয়া নামের এক ব্যক্তি। উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে রেকর্ডীয় জমি ফিরে পেয়েসেখানে একটি সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে রাখেন সিরাজ মিয়া। জমি ফিরে পাওয়া নিয়ে বিভিন্ন জাতীয়, স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরআগে গত ৩০ আগস্ট জমি উদ্ধারের জন্য কুলাউড়ায় সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ২ সেপ্টেম্বর সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন সিরাজ মিয়ার ছেলে মুহিবুর রহমান।
প্রশাসনের হস্তক্ষেপে জমি ফিরে পাওয়ার পরও ওই জমির মালিক সিরাজ মিয়া নন এমন মনগড়া তথ্য দিয়ে প্রতিপক্ষ রেজান মিয়ার স্ত্রী ছইফা বেগম গত ২২ অক্টোবর কুলাউড়ার সাপ্তাহিক মানবঠিকানা পত্রিকার ফেসবুক পেইজ ও অনলাইন পোর্টাল এইবেলায় একটি প্রতিবাদ ছাপিয়েছেন। প্রতিপক্ষ রেজান মিয়ার স্ত্রী ছইফা বেগম তার প্রতিবাদে উল্লেখ করেন, কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের অহিয়াশংকর মৌজায় বর্তমানে নাজিরের চক গ্রামের বাসিন্দা মৃত আলাউদ্দিনের পুত্র সিরাজ মিয়া যেসব দাগে ৪৮ শতক কৃষি জমির দাবি করেন প্রকৃতপক্ষে তিনি কোন দাগেই জমির মালিক নন। সিরাজ মিয়ার দাদা ছমির মোহাম্মদ এই জায়গা ১৯২৯ ইংরেজিতে শাহবাজ খা’র কাছে বিক্রি করেন। শাহবাজ খা’র উত্তরাধিকারী নওয়াজ উল্লাহ ও ফয়েজ উল্লাহ’র কাছ থেকে তার দাদা শ্বশুর খরিদা সূত্রে জমির মালিক হন এবং পরবর্তীতে ছইফা বেগমের কাবিনে উক্ত জায়গাটি দান করেন। এমনকি আরো উল্লেখ করা হয়, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ছাড়াই নাকি সিরাজ মিয়া রাতের আধারে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে নিজেকে জমির মালিক দাবি করেন। সর্বশেষ ওই জায়গায় আদালতের নাকি স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
ওই প্রতিবাদটি দৃষ্টিগোচর হয়েছে জমির মালিক সিরাজ মিয়ার। জমির মালিক সিরাজ মিয়া তার প্রতিবাদলিপিতে বলেন, কুলাউড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত আলা উদ্দিনের ছেলে সিরাজ মিয়া জানান, উপজেলার অহিয়াশংকর মৌজার জে. এল. নং ৫৯ আওতাধীন এস.এ খতিয়ান ১৪৭১, এস.এ দাগ ৫৭৮৬, আর.এস খতিয়ান ১৯৯৪, আর.এস ৫৯৭৭ দাগের ২৭ শতাংশ ও এস.এ খতিয়ান ১৪৭১, এস.এ দাগ ৫৭৭১, ৫৭৮২ আর.এস খতিয়ান ৫৪৮, আর.এস ৫৯৫৯,৫৯৭৩ দাগে ২১ শতকসহ মোট ৪৮ শতক কৃষি জমির প্রকৃত রেকর্ডীয় মালিক আমি।
সেনাবাহিনী ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে জমি উদ্ধারের জন্য আবেদন করলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আমার মৌরসী জমিটি ফিরে পাই।
তিনি আরো বলেন, উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে দীর্ঘ ৫০ বছর পর আমার রেকর্ডীয় জমি ফিরে পাই। এরপর ওইজমিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন স্যারের নির্দেশে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে নয়টায় একটি সাইনবোর্ড লাগাই। পরে সেখানে কলা বাগান করি। ওই জায়গায় বর্তমানে আদালতের কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। আদালত থেকে শুধু সমন জারি করে বলা হয়েছে আগামী ২০২৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জমির সমস্ত কাগজাদি নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য। এখন প্রতিপক্ষ রেজান মিয়ার স্ত্রী ছইফা বেগম বিভিন্ন গণমাধ্যমে মিথ্যা, কাল্পনিক, মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমি ওই প্রতিবাদের সাথে ভিন্নমত পোষণ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।#
Leave a Reply