নিটার প্রতিবেদন ::
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি ইউনিটের অধিভুক্ত সাভারের নয়ারহাটে অবস্থিত ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চ (নিটার)-এর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তেরোতম ব্যাচের লেভেল-১, টার্ম-২ সেমিস্টারের চূড়ান্ত ফলাফলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। প্রায় ২২০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী অধিকাংশই বিভিন্ন কোর্সে অকৃতকার্য হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ৫৭ জন শিক্ষার্থী কারিকুলামের শর্ত অনুযায়ী পরবর্তী সেমিস্টারে উত্তীর্ণ হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
এই অস্বাভাবিক ফলাফলের কারণে শিক্ষার্থী মহলে দেখা দিয়েছে চরম অসন্তোষ ও সন্দেহ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ফলাফল প্রকাশ করা হলেও তাতে গড়মিল ধরা পড়ায় কর্তৃপক্ষ তা ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেয়। পরে সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করা হলেও শিক্ষার্থীদের মাঝে অসন্তোষ কমেনি। ফলাফল ঘোষণার পরপরই বহু শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হন এবং সহপাঠীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ শুরু করেন।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে নিটার প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নেয়। কনফারেন্স রুমে বিভাগীয় প্রধান ও সংশ্লিষ্ট কোর্সের শিক্ষকরা জরুরি বৈঠকে বসেন এবং পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় শিক্ষার্থীরা তাদের নানা অসন্তোষের কথা প্রকাশ করেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সেমিস্টার ফাইনালের অন্তত দশদিন আগে ইনকোর্স পরীক্ষার ফলাফল জানিয়ে দেওয়ার প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম থাকলেও এবারে তা মানা হয়নি। চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার পরও শিক্ষার্থীরা ইনকোর্স পরীক্ষার নম্বর সম্পর্কে কোনো তথ্য পাননি। এই গাফিলতির সুনির্দিষ্ট কারণও তারা জানতে পারেননি। তবে, বিভাগীয় প্রধান আগামীকাল ইনকোর্স পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ করার আশ্বাস দিয়েছেন।
সভায় আরও আলোচিত হয়, যেসব শিক্ষার্থী পুনঃভর্তির ঝুঁকিতে পড়েছেন তাদের যেন একটি শিক্ষাবর্ষ নষ্ট না হয়—এ লক্ষ্যে সম্ভাব্য করণীয় নির্ধারণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে একঘণ্টার মতবিনিময় হয়। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, একাডেমিক ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন অসংগতি ও বিলম্ব তাদের বারবার পুনঃভর্তির ফাঁদে ফেলছে। শিক্ষকরা এসব সমস্যার সমাধানে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালানোর প্রতিশ্রুতি দেন।
তবে শিক্ষকরা এক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে জানান, নিটারের পরীক্ষা কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় সব বিষয়ে তাৎক্ষণিক সমাধান সম্ভব নাও হতে পারে। শিক্ষার্থীরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই বিষয়গুলো পরিবর্তন না হলে নিটার শিক্ষার্থীরা বারবারই পুনঃভর্তির ফাঁদে ঘুরতে থাকবে।#
since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in
Leave a Reply