বড়লেখায় দিনমজুর হত্যা: ২ মাসেও ক্লু উদ্ঘাটিত হয়নি প্রকৃত আসামিদের গ্রেফতার দাবীতে মানববন্ধন বড়লেখায় দিনমজুর হত্যা: ২ মাসেও ক্লু উদ্ঘাটিত হয়নি প্রকৃত আসামিদের গ্রেফতার দাবীতে মানববন্ধন – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ০৮:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
অবৈধ অনুপ্রবেশ- বড়লেখা সীমান্তে নারী ও শিশুসহ ১০ রোহিঙ্গা নাগরিক আটক অদম্য মেধাবী : চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছে দারিদ্রতা অনন্যার প্রতিবন্ধকতা নাগেশ্বরীতে বিএনপির আহবায়কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ নিটার ক্যাম্পাসে সমকামীতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সরব অবস্থান  দিনে ‘অচল’ ড্রেজার রাতে সচল আত্রাইয়ে চুরি ও মাদক মামলার আসামিসহ গ্রেফতার ৫ সংবাদ সম্মেলনে ওসমানীনগর বিএনপি : একটি মহলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ছাতকে ‘জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহণ’ ও আলোচনা সভা কুলাউড়ায় ফ্যাসিস্টযুক্ত বিএনপির কমিটি বাতিল কমলগঞ্জে শিক্ষিক খুনের ২ মাস : প্রধান আসামী অধরা : মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে ভিডিও বার্তায়

বড়লেখায় দিনমজুর হত্যা: ২ মাসেও ক্লু উদ্ঘাটিত হয়নি প্রকৃত আসামিদের গ্রেফতার দাবীতে মানববন্ধন

  • রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫

বড়লেখা প্রতিনিধি :

বড়লেখা উপজেলার বর্নি ইউনিয়নের বারহার গ্রামের দিনমজুর সালাহ উদ্দিন খুনের দুই মাস পরও হত্যাকান্ডের ক্লু উদ্ঘাটন ও প্রকৃত আসামি সনাক্ত করতে পারেননি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধিদের সানক্তপূর্বক গ্রেফতার দাবিতে নিহেতর স্বজনসহ এলাকাবাসি রোববার দুপুরে বড়লেখা পৌরশহরে মানববন্ধন সমাবেশ করেছেন। পরে তারা থানার ওসির কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

হত্যাকান্ডের শিকার দিনমজুর সালাহ উদ্দিনের ভাগ্নে ইকবাল জাফরের সঞ্চালনায় মানববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য দেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ছৈদ আলী, আব্দুল হালিম, ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মুজিবুর রহমান, পৌর জামায়াতের সেক্রেটারী আব্দুস সামাদ, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল কাদির পলাশ, নিহত সালাহ উদ্দিনের বাবা কমর উদ্দিন, চাচা পারভেজ আসুক, ছোটভাই আমির উদ্দিন, ভগ্নিপতি হাফিজ বেলাল আহমদ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ১৮ এপ্রিল রাত থেকে ১৯ এপ্রিল বিকেলের যে কোনো সময় নির্মমভাবে সালাহ উদ্দিনকে খুন করে রাতখাল নদীতে ফেলে দেয়া হয়। স্থানীয় জনসাধারণ ভাসমান অবস্থায় তার লাশ দেখে স্বজনদের খবর দেন। এঘটনায় নিহতের ভাই আমির উদ্দিন অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রউফ হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে আফজাল হোসেন ব্যতিত অন্য তিনজনকেই তিনি ছেড়ে দেন। ২৪ এপ্রিল সালাহ উদ্দিন হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আফজল হোসেনকে আদালতে সোপর্দ করে তিনি রিমান্ড প্রার্থনা করেন। নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি আফজল হোসেন কুড়িয়ে পেয়েছে দাবি করে সিএনজি চালক মামুন হোসেনকে ফোন দিয়ে নিশ্চিত হয় ফোনটি নিহত সালাহ উদ্দিনের। স্বজনদের প্রশ্ন প্রতি রাতে মামুন হোসেন দিনমজুর সালাহ উদ্দিনকে নিয়ে বিয়ানীবাজারে গ্যাস আনতে যেত। ওই দিন কেন সে তাকে নেয়নি। ঘটনার রাতে যে বাড়িতে সালাহ উদ্দিন ভাত খেয়েছে তাকে তদন্ত তর্মকর্তা আইনের আওতায় নেননি কেন। মামুন হোসেনকে থানায় আটক করা হলেও মুচলেকায় কেন তাকে ছেড়ে দেওয়া হল। নিহতের স্বজনরা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার ব্যাপারে কোনো ধরণের সহযোগিতা না করার অভিযোগ করেন।

বড়লেখা থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুর রহমান, জানান দিনমজুর সালাহ উদ্দিন হত্যার সুষ্ঠ তদন্ত, ক্লু উদ্ঘাটন ও প্রকৃত অপরাধীদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের দাবীতে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসি রোববার দুপুরে থানায় একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পরিবর্তন করে দেওয়া হতে পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews