ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি::
শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়া সুনামগঞ্জের ছাতক বিতকিত ভাতগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেনকে আবারো ও পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
গত শুত্রুবার দুপুরে বিতকিত ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন কে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সুনামগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি সফিকুল ইসলাম খান নিশ্চিত করেছেন।
গত বৃহম্পতিবার রাতে (তদন্ত) ওসি রঞ্জন কুমার ঘোষ এর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ছাতক উপজেলা পরিষদে সামন থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে । সে উপজেলার ভাতগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে।
জানা যায়, গত ২১ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন পরিষদের আটজন সাধারণ সদস্য ও তিনজন সংরক্ষিত নারী সদস্যরা।তার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা ইউএনও বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগে বলা হয়,তার বিরুদ্ধে টিআর, কাবিখা, এডিপি, কাবিটার চাল-টাকা আত্মসাৎ, ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে সরকারি বরাদ্দ লুটপাটসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতি লুটপাটের অভিযোগ করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৫ বছরের ব্যবধানে শূন্য থেকে কোটিপতি বনে যান ভাতগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে আওলাদ হোসেন। এক সময় বেসরকারি স্কুলের সহকারী শিক্ষক হিসেবে তিনি এলাকায় ‘মাস্টার’ নামেই পরিচিত ছিলেন। পরে সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের ঘনিষ্ঠ হয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ২০১১ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠতে থাকে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আওলাদ হোসেন চেয়ারম্যান হওয়ার পর ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে কোটি টাকা আত্মসাৎ, থানায় দালালি, জমি দখল ও বেচাকেনার মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হন। সিলেট শহরের আখলিয়া এলাকায় ‘আব্দুল মান্নান ভিলা’ নামে একটি বিলাসবহুল বাড়ি এবং পরিবারের সদস্যদের বিদেশে পাঠানোর মতো বিপুল অর্থের মালিক তিনি।অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, চেয়ারম্যান একক সিদ্ধান্তে ২০২৩, ২০২৪ ও ২০২৫ অর্থবছরের সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের তথ্য গোপন করে প্রায় ২০ লাখ টাকার বরাদ্দ আত্মসাতের চেষ্টা করেছে। এতে পরিষদের সদস্যরা প্রকৃত প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হন। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তিনি বিরোধী সদস্যদের নানা হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। এর আগেও আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। দীর্ঘদিন কারাভোগের পরও এলাকায় তার প্রভাব-প্রতিপত্তি অটুট রয়েছে। উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক পদ বাগিয়ে নেওয়া এই চেয়ারম্যানকে এলাকার মানুষ আগে কখনও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত দেখেননি বলেও অভিযোগকারীদের দাবি। অনাস্থা প্রস্তাবে চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন ছাড়াও তার ঘনিষ্ঠ সাবেক ইউনিয়ন সচিব জীতেন দাস, সাবেক দুর্নীতিবাজ পিআইও মাহবুর রহমান এবং যুবলীগ নেতা শিব্বির আহমদকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।এসব অনিয়মের ঘটনায় নিম্পতি লক্ষে গত বৃম্পতিবার রাতে চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেনের নেতৃত্বে নোহা গাড়ি যোগে আওয়ামলীলীগ যুবলীগের নামধারি মেম্বারদের নিয়ে উপজেলা পরিষদ এলাকা প্রবেশ,ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দুনীতি আত্নসাৎ এর ঘটনায় ধামাচাপার দিয়ে আপোষা দেয়ার আগেই পুলিশ বিতকিত চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন গ্রেপ্তার করে।#
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply