বড়লেখা প্রতিনিধি:
বড়লেখায় প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের বিচারপ্রার্থী হওয়ায় কুয়েত প্রবাসী ব্যবসায়ি মাহবুবুর রহমানকে একটি প্রতারক ও চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। বুধবার দুপুরে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এমন অভিযোগ করেছেন। কুয়েত প্রবাসী ব্যবসায়ি মাহবুবুর রহমান পৌরসভার গাজিটেকা এলাকার মৃত মুহিবুর রহমানের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাহবুবুর রহমান বলেন, তিনি কুয়েত প্রবাসী একজন ব্যবসায়ী। তিনি একটি প্রতারক ও চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট চক্রের প্রতারণার শিকার। এর মূলহোতা একই এলাকার মৃত আব্দুল মতিনের ছেলে আব্দুল কাইয়ুম ও দিলারা জামান। অভিযুক্তরা তারই নিকট আত্মীয়। প্রবাস জীবনের সকল সঞ্চয় দিয়ে তিনি তাদের কাছ থেকে বড়লেখা বাজারে একটি মার্কেট ক্রয় করেন। ঘটনার সূত্রপাত সেখান থেকেই। কিন্তু আজ মার্কেটও নেই, টাকাও নেই। প্রতারক চক্রের কৌশলে তিনি সর্বশান্ত। আব্দুল কাইয়ুম ও দিলারা জামান তাকে বলেন, বড়লেখা বাজারে তাদের দেড় শতক ভূমিতে একটি ৩ তলা মার্কেট আছে। সেটি কিনে নিতে পারেন। আমি তাদেরকে প্রশ্ন করি আপনাদের বাবা নেই, আপনারা তো ভাই-বোন ৮ জন। আপনি (আব্দুল কাইয়ুম) একা এই মার্কেটের মালিক কিভাবে? আপনি কিভাবে তা বিক্রি করবেন? তিনি বলেন, বাবা মারা যাওয়ার আগে আমাদের দুই ভাইয়ের নামে দিয়ে গেছেন। তাছাড়া আমার ভাইয়ের কাছ থেকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি এনেছি। বিষয়টি আমার বুঝে আসেনি। যেহেতু আমার ইউকের মাল্টিপল ভিসা আছে, তাই আমি অন-অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ে আব্দুল কাইয়ুমের ভাই দুবাই প্রবাসী শাকুর আহমদের সাথে দেখা করে বিষয়টি জানতে চাই।
সেও আমাকে আশ্বস্থ করে, মার্কেট কিনে নিন, কোনো সমস্যা হবে না, এতে তারও সম্মতি রয়েছে। মার্কেটের দাম নিরানব্বই লক্ষ টাকা নির্ধারণ করে আমি আব্দুল কাইয়মের সাথে ডিড করি। সে চেয়েছিল পুরো টাকা নগদ নিতে। কিন্তু আমি চেকের মাধ্যমে টাকার দেওয়ার ব্যবস্থা করি। কথা ছিল তিন মাস পরে রেজিষ্ট্রী করে মার্কেট হস্তান্তর করা হবে। ৪টি চেকের মাধ্যমে আমি তাকে ৯৯ লাখ প্রদান কির। কিন্তু যথাসময়ে তিনি আমাকে মার্কেট বুঝিয়ে না দিয়ে নানা টালবাহানা শুর করেন। এর মধ্যে উনারা ৩টি চেকে ৭৪ লাখ টাকা উত্তোলন করে নেন। কিছুদিন পরে জানতে পারি আব্দুল কাইয়ুম কারাগারে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, তিনি আমার কাছে মার্কেট বিক্রি করার আগে অন্য ব্যক্তির (দ্বীপক বাবু) কাছে মার্কেটটি বিক্রি করেছিলেন এবং সময়মতো হস্তান্তরর না করায় তার বিরুদ্ধে মামলা হলে সেই মামলায় তিনি কারাগারে রয়েছেন। এই খবর শুনে আমি ভেঙে পড়ি। কারণ প্রবাস জীবনের সবটুকু সঞ্চয় দিয়ে এই মার্কেট ক্রয় করেছিলাম। কাইয়ুমের পরিবার আমাকে ধৈর্য ধরতে বলে। আশ্বাস দেয় যে, দ্বীপক বাবুর বিষয়টি মীমাংসা করে কাইয়ুম জেল থেকে বের হয়ে সব বুঝিয়ে দিবে। আমি ২০২২-২৩ সাল অপেক্ষা করি। পরে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে বের হলেও আবার টালবাহানা শুর করেন এবং একসময় জানিয়ে দেন আমাকে ও দ্বিপক বাবু কাউকে মার্কেট দিবেন না। এরপর দেশের পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে আমি সেনাবাহিনীর সাহায্য নেই। মেজরের পরামর্শে আমার স্ত্রীকে দেশে পাঠাই। প্রতারক আব্দুল কাইয়ুম ও দিলারা জামানের সাথে একটি ঘরোয় মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয় উনি আমাকে চারটি চেকে ডিসেম্বর ২০২৪ এর মধ্যে ক্ষতিসহ টাকা ফেরত দিবেন। কিন্তু একটি চেকও পাশ হয়নি। পরে উনি জমি বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করবেন বলে আরো সময় নেন। কিন্তু কোন জায়গা বিক্রি করেননি। এরপর উক্ত টাকার পরিবর্তে আলোচনা সাপেক্ষে ৮৪.০৫ শতাংশ জমি দলিল করে দেন। পরে জানতে পারি ভূয়া দলিলের ভূমি নিজের নামে তৈরি করে আমার কাছে বিক্রি করেছেন। প্রকৃত মালিক আব্দুল কাইয়ুম নন। বিক্রিত জমির দখল মিলেনি। এসব প্রতারণার ব্যাপারে কথা বলায় প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এব্যাপারে বাড়াবাড়ি করলে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতারেরও ভয় দেখাচ্ছে। ইতমধ্যে মঙ্গলবার রাতে আমার বাড়িতে আমাকে খুঁজতে পুলিশ গিয়েছে। আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি।
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply