এইবেলা ডেক্স, কুলাউড়া ::
কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য মো: হারুন মিয়ার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় লোকজন। ওই ইউপি সদস্যের স্বজনপ্রীতি থেকে রেহাই পেতে এবং বিষয়টির আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে আবেদন করেছেন তাঁরা।
কাদিপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ২১ জন স্বাক্ষরিত ওই আবেদনে বলা হয়েছে যে, ইউপি সদস্য হারুন মিয়া বিভিন্ন সময়ে ইউনিয়নে আসা সরকারী অনুদান প্রকৃত উপকার ভোগীদের মধ্যে বিতরন না করে নিজের পছন্দসই লোক এবং আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বিতরণ করেন। এমনি একাধিকবার ঘুরেফিরে ওই পরিবারগুলোকেই সরকারি-বেসরকারি সহায়া প্রদান করে আসছেন। যা নিয়ে এলাকার মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে।
সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অসহায় হতদরিদ্রদের মধ্যে বিতরনের জন্য ২৫০০ টাকার তালিকাকরনে ব্যাপক অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি করেছেন। প্রকৃত প্রাপ্যদের ওই তালিকায় সংযুক্ত না করে নিজের পছন্দের এবং বিত্তশালী আত্মীয়দের নাম দিয়ে তালিকা প্রদান করেছেন।
আর বিষয়গুলো নিয়ে এলাকার লোকজন একাধিকবার মেম্বারের শরণাপন্ন হলেও তিনি তাতে কোন কর্নপাত করেননি। তাই নিরুপায় হয়ে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর শরণাপন্ন হয়েছেন।
এব্যাপারে কাদিপুর ইউনিয়নের ৭ ওয়ার্ড সদস্য মো. হারুন মিয়া নিজের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমাকে বিতর্কিত করার জন্য একটি পক্ষ পরিকল্পিতভাবে এগুলো রটাচ্ছে। তালিকা সচ্ছভাবে হয়েছে, আপনারা সরেজমিন খোঁজ নিলে জানতে পারবেন।
বিষয়টি নিয়ে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, কাদিপুর ইউনিয়নে নিযুক্ত ট্যাগ অফিসার, একজন এনজিও প্রতিনিধি, একজন শিক্ষক এবং একজন ইমামের সমন্বয়ে তালিকা যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। যেহেতু এলাকার মানুষের অভিযোগ, তালিকাটি আবারও খতিয়ে দেখা হবে।#
Leave a Reply