নিজস্ব প্রতিবেদক, এইবেলা ::
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যাপক সিএম জয়নাল আবেদিনের সাথে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আহমদ খাঁন সুইটকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রোববার (২৯ নভেম্বর) রাত ৮ টায় বরমচাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু এবং সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম।
সভাপতি-সম্পাদক স্বাক্ষরিত লিখিত ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় সংসদের নির্দেশনা অনুযায়ী বিগত ৯ নভেম্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি- সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে উপ নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে দলের ৩ জনের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়। এসময় ওই ৩ জনই মৌখিক অঙ্গিকার করেন দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেউই বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন না।
পরবর্তীতে কেন্দ্র থেকে অধ্যাপক সিএম জয়নাল আবেদিনকে দলীয় প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেয়া হয়। দলীয় মনোনয়ন চুড়ান্ত হবার পর বরমচাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি (৫নং) খোরশেদ আহমদ খাঁন সুইট বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন এমন সংবাদ পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ তাকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। কিন্তু খোরশেদ আহমদ খাঁন সুইট নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র ৪৭.(১১) উপধারাটি ভঙ্গ করেন। যার কারনে তাকে স্বীয় পদ ও দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে সরাসরি বহিষ্কার করা হয় এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে প্রেরণ করা হলো।
এছাড়াও দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচারণায় অংশ নেয়ায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য বাদশা মিয়া, পারভেজ আহমদ এবং ৩ নং ওয়ার্ড সভাপতি মুহিব আলী রাজাকে স্বীয় পদ ও দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। কেন তাদেরকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবেনা তা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নিকট কারন দর্শাতে বলা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দলীয় প্রতীক ও প্রার্থীর বিরোধী হয়ে আওয়ামী লীগ করার কোন সুযোগ নেই। আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য এ নির্বাচনে নৌকার জয় অবশ্যই হবে, ইনশা আল্লাহ। এতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।#
Leave a Reply