এইবেলা, কমলগঞ্জ ::
সারাদেশের ১৩টি সম্মুখ সমরযুদ্ধের স্মৃতিসৌধের মত ২০১২ সালে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর বিমানবন্দর এলাকায় নির্মিত হয়েছিল একটি সম্মুখযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ। স্মৃতিসৌধ নির্মাণের পর এটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকা ঝোঁপঝাড়ে ভরে যায়। শমশেরনগর সম্মুখ সমরযুদ্ধ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে তা রক্ষণাবেক্ষণের দাবিতে রোববার ১৩ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় স্থানীয় সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “নবধারা” শমশেরনগর স্মৃতিসৌধের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
নবধারা শমশেরনগর এর সন্বয়ক মাহমুদুর রহমান আলতার নেতৃত্বে কমিটির সদস্যরা রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় শমশেরনগর বিমানবন্দর এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখ সমরযুদ্ধ স্মৃতিসৌধের সামনে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। মানবন্ধন পালনকালে বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য প্রভাষক কবি শাহজাহান মানিক, প্রভাষক আবু সাদাত মো. সায়েম, মোকারামীন চৌধুরী, শামছুল হক মিন্টু, জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ। পরে সম্মুখ সমরযুদ্ধ স্মৃতিসৌধের ঝোঁপঝাড় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে। একই সাথে পার্শবর্তী শমশেরনগরে বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ ধোয়া মোছা করেন।
নবধারা শমশেরনগর-এর সমন্বয়ক মাহমুদুর রহমান আলতা বলেন, সম্মুখ সমর স্মৃতিসৌধ নির্মাণের পর থেকে ফটকে তালা দিয়ে রাখলেও স্থানীয় প্রশাসন বা কেউ তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করেনি। ফলে পুরো এলাকা ঝোঁপঝাড়ে আচ্ছাদিত হয়ে পড়ে। একই সাথের পাশের বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ অবহেলায় ও অযতেœ পড়েছিল। গত বছরও নবধারা শমশেরনগর এ দুটি স্মৃতিসৌধ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবি দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে পুষ্পার্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।
মানববন্ধনে তারা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয় দুটি স্মৃতিসৌধ রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নিয়ে দায়িত্বশীল কারো কাছে ফটকের চাবি হস্তান্তর করলে মানুষজন সেখানে গিয়ে স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারবে।#
Leave a Reply