হাকালুকির নিমু বিল অভয়াশ্রমে দখল আর মাছ লুটকালে ইউএনও’র অভিযান হাকালুকির নিমু বিল অভয়াশ্রমে দখল আর মাছ লুটকালে ইউএনও’র অভিযান – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
৩ মাস থেকে ১২ চা বাগানের শ্রমিকদের রেশন-বেতন বন্ধ কুলাউড়ার নবারুন আদর্শ বিদ্যাপীটের সভাপতির প্রবাস গমন উপলক্ষে সংবর্ধনা প্রদান কমলগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো খাসিয়াদের বর্ষবিদায় উৎসব “সেং কুটস্নেম” বড়লেখায় শিক্ষা ও সেবা ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা ও পুরস্কার বিতরণ কুড়িগ্রামে শ্রমিক লীগ নেতাকে শ্রমিক দলে রাখার পায়তারা বড়লেখায় পৌর যুবদল নেতার মামলায় ২ যুবলীগ নেতা গ্রেফতার বড়লেখায় শিক্ষক ও সাংবাদিক মইনুল ইসলামের ইন্তেকাল : শোক প্রকাশ নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিটার মিনিবার নাইট ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন এফসি ডার্ক নাইট একজন মেহেদী হাসান রিফাতের গল্প : স্বপ্ন থেকে সাফল্যের পথে

হাকালুকির নিমু বিল অভয়াশ্রমে দখল আর মাছ লুটকালে ইউএনও’র অভিযান

  • শনিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২১

আব্দুর রব, বড়লেখা ::

হাকালুকি হাওরের বড়লেখা অংশের ২১ একরের মৎস্য অভয়াশ্রম নিমু বিলের অধিকাংশই প্রভাবশালীরা দখল করে নিয়েছে। নিমু বিল যেন নামেই অভয়াশ্রম, বড়লেখা উপজেলার ইসলামপুর, গোলাপগঞ্জ উপজেলার রাংজিয়ল ও নুরজাহানপুর গ্রামের কতিপয় আসাধু ব্যক্তিরা খাল কেটে ও পাম্প মেশিনে পানি সেচে এ অভয়াশ্রমের লাখ লাখ টাকার মাছ লুট করেছে।

শুক্রবার সকালে ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান অভিযান চালিয়ে মাছ ধরার ব্যাপক জাল জব্দ করেন। এসময় মাছ লুটেরা বাহিনী পালিয়ে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে উপজেলা মৎস্য বিভাগ।

জানা গেছে, হাকালুকি হাওরে প্রায় পৌনে ৩শ’ ছোট-বড় বিল রয়েছে। সবগুলো ইজারা দেয়া হলেও মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার ১৩টি বিলকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করে। এরমধ্যে নিমু বিল অন্যতম। স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র বর্ষায় বিভিন্ন অবৈধ জাল দিয়ে ও শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে খাল কেটে ও পাম্প মেশিন বসিয়ে পানি কমিয়ে এ অভয়াশ্রম থেকে লাখ লাখ টাকার মাছ লুট করতে থাকে। সারা রাত মাছ ধরে সকালে বিলের পাড়ে তারা মাছ বিক্রি করে। এছাড়া প্রভাবশালী চক্রটি ২১ একর আয়তনের নিমু বিল অভয়াশ্রমের সিংহভাগই দখল করে নিয়েছে। নিজেদের রেকর্ডিয় ভুমি দাবী করে শুকিয়ে বোরো ধান চাষ করছে।

বিল শুকিয়ে মাছ লুটের গোপন সংবাদে শুক্রবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম আল ইমরান পুলিশ ও মৎস্য কর্মকর্তাদের নিয়ে সরকার ঘোষিত অভায়শ্রম নিমু বিলে অভিযান চালান। এসময় মাছ লুটেরা বাহিনী পালিয়ে গেলেও মাছ শিকারের ব্যাপক জাল ও নানা সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। পরে প্রত্যক্ষদর্শীদের দেয়া তথ্যে তালিমপুর ইউনিয়ন স্থানীয় মৎস্য সম্প্রসারণ প্রতিনিধি নুর হোসেন মাছ চুরির অভিযোগে গোলাপগঞ্জের নুরজাহানপুর গ্রামের দুলাল আহমদ, বড়লেখার ইসলামপুর গ্রামের রাসেল আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম, রুমান আহমদের নাম উল্লেখ ও আরো ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ ও দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর বিভিন্ন ধারায় বড়লেখা থানায় মামলা দায়ের করেন।

ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান জানান ‘নিমু বিল’ অভয়াশ্রমটি উপজেলা সদর থেকে বেশ দূরবর্তী ও হাকালুকি হাওরের দূর্গম এলাকায়, সিলেটের গোলাপগঞ্জ হয়ে সেখানে পৌঁছতে হয়। অবৈধভাবে মাছ ধরার অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার শেষ রাতে তিনি বিলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। সকালে পৌঁছার সাথেই মাছ লুটেরা বাহিনী মাছ ধরার জালসহ বিভিন্ন সরঞ্জার ফেলে পালিয়ে যায়। এগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে এবং তথ্য সংগ্রহ করে মাছচোরদের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews