নিজস্ব প্রতিবেদক, সুনামগঞ্জ ::
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার একটি আশ্রয় শিবির থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা সন্দেহে আরো দুই নারী অপর এক রোহিঙ্গা যুবকসহ দু’দফায় চারজনকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্ত থেকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ-২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ (বিজিবি) তাহিরপুর উপজেলার বীরেন্দ্রনগর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ বাগলী বাজার হতে সুফাইয়া বেগম (২২) তারই সহোদর ছোট বোন রুবিনা বেগম (১৮) নামে দুই রোহিঙ্গা নারীকে আটক করে পুলিশ।
এরপুর্বে প্রখম দফায় একই এলাকা হতে সোমবার রাত ২টার দিকে সুফাইদ (২১) নামে এক রোহিঙ্গা যুবক ও আশ্রয় দাতা উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ইন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আবুল খায়েরের ছেলে ফারুক মিয়াকে আটক করে পুলিশ।
মঙ্গলবার তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়,গত ৩ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়ার একটি আশ্রয়শিবির থেকে পালিয়ে আসেন রোহিঙ্গা যুবক সুফাইদ।
এরপর তিনি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী বীরেন্দ্রনগরের ইন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আবুল খায়েরের ছেলে ফারুক মিয়া তার সহোদর মোবারক মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেন।
ফারুক মিয়া গত তিন বছর পুর্বে কক্সবাজারের উখিয়ার একটি আশ্রয় শিবিরে থাকা বাস্তচুত্য মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের ইব্রাহিমের জেষ্ট কন্যা সুফাইয়াকে গোপনে বিয়ে করে নিজ গ্রামের বাড়ি নিয়ে আসেন।
পরবর্তী বছর খানেক পুর্বে বড়ভাই ফারুকের পথ অনুসরন করে সহোদর ছোট ভাই মোবারক মিয়া রোহিঙ্গা নারী সুফাইয়ার আপন সহোদর ছোট বোন রুবিনাকে গোপনে বিয়ে করে নিজ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন। ,
ওই দুই নারীর দাবি তাদের পিতা রোহিঙ্গা হলেও তাদের মা মূলত বাংলাদেশী নাগরিক। বাংলাদেশেই তাদের জন্মস্থান।
অরপদিকে ফারুক ও মোবারক আটক রোহিঙ্গা যুবকের সম্পর্কে ফুফুদের জামাতা হন।
আটককৃত সুফাইয়ার ২ বছর বয়সী এক শিশু সন্তান ও অপর বোন রুবিনার ১ বছর বয়সী আরো এক শিশু সন্তান রয়েছে।
এদিকে বেশ কয়েক দিন আশ্রয়ে থাকার পর সোমবার রাত ১১টার দিকে রোহিঙ্গা যুবক উপজেলার বাগলী বাজারে এসে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল নিয়ে পার্শ্ববর্তী নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা যাওয়ার পথে তার কথাবার্তায় স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়।
এরপর থানা পুলিশকে অবহিত করলে প্রথম দফায় রোহিঙ্গা যুবক সুফাইদ ও তার আশ্রয়দাতা ফুফুর জামাতা ফারুক মিয়াকে সোমবার রাত ২টার দিকে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।,
মঙ্গলবার সন্ধায় সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বিপিএম বলেন, আটককৃত রোহিঙ্গা যুবক সুফাইদকে কক্সবাজারের উখিয়া আশ্রয় শিবিরে পাঠানো হচ্ছে, এছাড়াও প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে আটককৃত অপর দুই নারীর পিতা রোহিঙ্গা হলেও তাদের গর্ভধারীনি মা বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন, তাই সার্বিক বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরন করেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।#
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply