আব্দুর রব, বড়লেখা, :
ভারতের আসাম রাজ্যের কাছাড় জেলা পুলিশ কর্তৃক উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশী ভবঘুরে নারী পুরবী হালদার (৬০) মঙ্গলবার দেশে ফিরেছেন। করিমগঞ্জের সুতারকান্দি ও বিয়ানীবাজারের শেওলা সীমান্তের জিরো লাইনে করোনা স্বাস্থ্যবিধি প্রটোকল সেরে বেলা দুইটায় ভারতের বিএসএফ ও সীমান্ত পুলিশ তাকে বিজিবি ও ইমিগ্রেশন পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেছে। সেখান থেকে পুরবী হালদারের ছেলে জয় হালদার মাকে গ্রহণ করেন।
বিএসএফ ৭ ব্যাটালিয়ানের সুতারকান্দি কোম্পানি কমান্ডার এনতনি এক.কে, কাছাড় পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর মধুসূদন সিনহা এবং সীমান্ত পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল ওয়াখিল বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়ানের নায়েক মো. মোশাররফ হোসেন ও ইমিগ্রেশন পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টরএসআই মো. আবুল কালামের নিকট পুরবী হালদারকে তোলে দেন।
জানা গেছে, যশোরের অভয়নগর উপজেলার একতারপুর গ্রামের বাসিন্দা পুরবী হালদার নিখোঁজ ছিলেন। আসামের কাছাড় জেলার হরিনগর বাজার এলাকায় ভবঘুরে এক মহিলাকে চোঁখে পড়ে ধ্র“ব দাস পুরকায়স্থ নামে এক ব্যক্তির। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারেন ওই নারী বাংলাদেশের যশোর জেলার বাসিন্দা। ২৩ জুন পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর হরিনগর থেকে তাকে উদ্ধার করে কাছাড় পুলিশ। শিলচল মেডিকেল কলেজ থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সেরে কাছাড় পুলিশের তত্ত¡াবধানে পুরবী হালদারকে রাখা হয় অসম ইনস্টিটিউট অব নার্সিংয়ে। গুহাটিতে থাকা বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহকারী হাই কমিশনার তানভীর মনসুর বিষয়টি জেনে সরকারীভাবে তথ্য নিয়ে পুবরীর নাম ঠিকানা নিশ্চিত হয়ে তাকে দেশে পাঠানোর উদ্যোগ নেন। তার তৎপরতায় দীর্ঘদিন ভারতে ভবঘুরে অবস্থায় ঘুরে বেড়ানো পুরবী হালদার অবশেষে মঙ্গলবার দেশে ফিরলেন।
বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্ণেল গাজী শহীদুল্লাহ জানান, বিজিবি’র উপস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ বাংলাদেশী নাগরিক পুরবী হালদারকে শেওলা সীমান্তে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেছে। আনুষ্টানিকতা শেষে পুলিশ ওই নারীর ছেলে জয় হালদারের নিকট পুরবী হালদারকে হস্তান্তর করেছে।#
Leave a Reply