বড়লেখায় ৯ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ বড়লেখায় ৯ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ১২:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ব্যতিক্রমী উদ্যোগ- জুড়ীতে ৮০০ চা শ্রমিককে রেনকোট দিলেন পর্তুগাল প্রবাসী সাচ্চু কুলাউড়ায় অশ্রুসিক্ত নয়নে প্রধান শিক্ষককের বিদায় সংবর্ধনা মৌলভীবাজারে জাল টাকা ও ভারতীয় রুপি জব্দ, আটক ১ কমলগঞ্জে ১৪৯ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও ল্যাপটপ বিতরণ কমলগঞ্জ থেকে উদ্ধার গন্ধগোকুলের শাবক লাউয়ছড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত ন্যাশনাল জব ফেস্ট ২০২৫: কর্মসংস্থানের বিশাল আয়োজন কুলাউড়ার মুরইছড়া সীমান্ত দিয়ে নারী শিশুসহ ৭ জনকে পুশইন ন্যাশনাল জব ফেস্ট ২০২৫: কর্মসংস্থানের বিশাল আয়োজন কুলাউড়ার রাউৎগাঁও ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান-২ আনু মিয়াকে দায়িত্ব প্রদানে ৮ সদস্যের সুপারিশ বড়লেখায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ চাষিদের মধ্যে মৎস্যখাদ্য বিতরণ

বড়লেখায় ৯ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

  • শনিবার, ১৯ জুন, ২০২১

বড়লেখা প্রতিনিধি ::

বড়লেখায় প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ভবন নির্মাণে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার ও শনিবার ইউএনও খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করে কাজের মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

বিদ্যালয়গুলো হচ্ছে নারীশিক্ষা একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বড়লেখা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ছোটলিখা উচ্চ বিদ্যালয়, চান্দ্রগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়, মাইজগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়, টেকাহালি উচ্চ বিদ্যালয়, কাঠালতলী উচ্চ বিদ্যালয়, হাকালুকি উচ্চ বিদ্যালয় ও তালিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়।

ছোটলেখা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণে ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, নারী শিক্ষা একাডেমি মাধ্যমকি বিদ্যালয়ে ৪ তলা একাডেমিক ভবনে ২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, বড়লেখা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ঊর্ধমূখি সম্প্রসারণে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা, চান্দ্রগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণে ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, মাইজগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণে ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, হাকালুকি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণে ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকাসহ ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণে সরকারের ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এই ৯ প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ কাজের বাস্তবায়ন করছে।

এরমধ্যে ছোটলিখা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাটিযুক্ত বালু দিয়ে প্লাস্টার করায় তাৎক্ষণিক কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। মাইজগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজের মজদু নিম্নমানের ইট সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাওলাদার আজিজুল ইসলাম ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ সহকারী প্রকৌশলী আফজাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, নারীশিক্ষা একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের দরজায় অপরিণত কাঠ লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে নিম্নমানের সামগ্রী ও বাথরুমে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের ফিটিংস। র‍্যাম্পের নীট ফিনিসিং উঠে গেছে। বড়লেখা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবনে দুটি দরজায় নিম্নমানের কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। ভবনের ছাদের প্লাস্টার উঠে গেছে ও জানালায় নিম্নমানের পুডিং ব্যবহার করা হয়েছে। ছোটলিখা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাটিযুক্ত বালু দিয়ে প্লাস্টার কাজ করতে দেখা গেছে। এই ভবনের ছাদের প্লাস্টার উঠে গেছে। যথাযথভাবে কিউরিং করা হয়নি। চান্দগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় ভবনের বিভিন্ন জায়গায় নিম্নমানের ইট ব্যবহার করতে দেখা গেছে। বালু ও সিমেন্টের মিশ্রন কোনো কোনো জায়গায় সঠিকভাবে হয়নি। এরমধ্যে ছোটলিখা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাটিযুক্ত বালু দিয়ে প্লাস্টার কাজ করায় তাৎক্ষণিক কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

নারীশিক্ষা একাডেমি স্কুল ভবনের ঠিকাদার রুসমত আলম জানান, ‘ভবনের কাজ এখনো চলমান আছে। রং, সোলার ও বিদ্যুতের কাজ বাকি রয়েছে। ত্রুটি থাকলে সংশোধনের সুযোগ রয়েছে।’ ছোটলিখা উচ্চ বিদ্যালয় ভবনের ঠিকাদার প্রদীপ কুমার দেব জানান, ‘বিল্ডিংয়ের বাহিরের অ্যাপ্রোনের কাজ চলছে। ভবনের মূলকাজ শেষ পর্যায়ে। সকল কাজ প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের দেখিয়ে করা হয়েছে। কাজে এরকম হওয়ার কথা না। কিউরিং এর বিষয়ে আমি সচেতন। পানি দেওয়ার লোক রাখা আছে। ত্রুটিগুলো সংশোধন করা হবে।’

শিক্ষা প্রকৌশলের উপ সহকারী প্রকৌশলী আফজাল হোসেন জানান, ‘যেসব ত্রুটি পাওয়া গেছে এগুলো সংশোধনের জন্য ঠিকাদারদের বলা হয়েছে। কিছু সংশোধন কার্যক্রম চলছে। কাজ যথাযথ না হলে বিল দেওয়া হবে না।’

ইউএনও খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী জানান, ‘৯টি ভবনের কাজে নিম্নমানের ইট, বালুসহ নানা সামগ্রী ব্যবহার ও বেশকিছু ত্রুটি পাওয়া গেছে। একটি ভবনের কাজ তাৎক্ষণিক বন্ধ ও অন্যগুলোর নিম্নমানের সামগ্রী অপসারণ করতে বলা হয়েছে। দরপত্রের স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী প্রত্যেক ভবনের যাবতীয় কাজ যথাযথ না হলে ঠিকাদারদের বিল না দিতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews