নিজস্ব প্রতিবেদক ::
পেশাদার খুনী চক্রকে ভাড়া করে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে নিজ ছেলেকে গলা কেটে খুন করালেন সুনামগঞ্জের মোহাম্মদ আলী নামে এক পাষন্ড পিতা। এ বর্বর হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলার এজাহারে নাম না থাকলেও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ নিহতের পাষন্ড পিতা, পেশাদার দুই ভাড়াটে খুনীসহ ৩ জনকে নতুন করে পুর্বের দায়েরি হত্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন,উপজেলার বড়দল উওর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চাঁনপুর রজনীলাইন গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে একাধিক হত্যা মামলায় ১৭ বছর সাজাভোগের পর উচ্চ আদালত হতে খালাসপ্রাপ্ত সেকান্দর আলী ওরফে সেকান্দর ডাকাত, তার পুরনো সহযোগি মাহারাম দক্ষিণ পাড়ার মৃত নবী হোসেনে ছেলে সুরুজ মিয়া (৫৫) মাহারাম গ্রামের মাহারাম উওর পাড়ার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে পাষন্ড পিতা মোহাম্মদ আলী (৫৫)। সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান পিপিএম এ প্রতিবেদককে বৃহস্পতিবার রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। প্রসঙ্গত, গত ২২ মে শনিবার সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তের নির্জন হাওর থেকে জাহাঙ্গীর আলম (২৮) নামে এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত জাহাঙ্গীর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের মাহারাম (নদীর উত্তরপাড়) গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
এরপুর্বে ২১ মে শুক্রবার এশার নামাজের পর খুনী চক্র মুঠোফোনে বাড়ি হতে ডেকে নিয়ে যায় জাহাঙ্গীরকে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে ২২ মে শনিবার রাতে মামলা দায়ের করলে এজাহার নামীয় তিন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। কিন্তু গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের জড়িত থাকার মত তেমন কোন ক্লু পায়নি পুলিশ। এরপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। গত ১৯ মে মামলার তদন্তাকারী অফিসার বাদীর ঘনিষ্ট বন্ধু সুরুজকে তুলে নিয়ে যান থানায়। পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে মাদকাসক্ত পুত্র জাহাঙ্গীরকে সরিয়ে দিতে পিতা মোহাম্মদ আলী ২০ হাজার টাকায় খুনের মৌখিক চুক্তি করার পর তারা মিশন বাস্তবায়নে মাঠে নামেন।
এরপর সুরুজ ও সিকান্দর মুঠোফোনে ২১ মে শুক্রবার এশার নামাজের পর ৫’শ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় জাহাঙ্গীরকে। ওই রাতে উপজেলার সীমান্তের শান্তিপুরের নির্জন হাওরে ধারালো দা দিয়ে ঠান্ডা মাথায় জাহাঙ্গীরকে গলাকেটে খুন করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন দু’জন। হত্যাকাান্ডের বিষয়টি ফের মুঠোফোনে পাষন্ড পিতা মোহাম্মদ আলীকেও নিশ্চিত করেন সেকান্দর- –সুরুজ। ২৩ জুন মঙ্গলবার উপজেলার আনোয়ারপুর এলাকায় আত্বগোপনে থাকা অবস্থায় মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করেন পুলিশ। তার বসতবাড়ি হতে উদ্ধার করা হয় খুনে ব্যবহ্নত ধারালো দা।
২৪ জুন বুধবার রাতে ঢাকার গাজীপুরের মাওনার কমপক্ষে ৫ কিলোমিটার অদুরে দূর্গম কড়ইতলা এলাকা হতে পেশাদার খুনী সেকান্দর আলী ওরফে সেকান্দর ডাকাতকে গ্রেফতার করেন তাহিরপুর থানার মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই মো. গোলা হক্কানী ও তার সঙ্গীয় চৌকস পুলিশ সদস্যরা।
তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, মামলার তদন্তকারী অফিসার বাদী অর্থাৎ নিহতের পিতা মোহাম্মদ আলী, সুরুজ ও সেকান্দর ডাকাতের বিরুদ্ধে আদালতে নতুন করে হত্যা মামলা দায়ের করবেন এবং তিনিই আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পুর্বের হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা তিন হাজতিকে আদালতের মাধ্যমে হত্যা মামলা হতে অব্যাহতি প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন ।।#
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply