নিজস্ব প্রতিবেদক ::
বিধবা মায়ের ‘এতিম কিশোরী কন্যা’কে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ডাকাত পুত্র শাহীন মিয়া নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতার শাহীন উপজেলার উওর বড়দল ইউনিয়নের পুরানঘাট গ্রামের এক সময়ের আন্ত:উপজেলা ডাকাত দলের সদস্য চাঁন মিয়া ওরফে চান্দু ডাকাতের ছেলে।
ভিকটিম ও মামলার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার পুরানঘাট গ্রামের চান্দু ডাকাতের ছেলে শাহীন বিধবা ফুফু বাড়ি না থাকার সুবাধে ঈদুল আজহার দুইদিন পুর্বে সোমবার (১৯ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে একই গ্রামে থাকা ১৬ বছর বয়সী ফুফাত বোন এতিম কিশোরীকে ঘরের ভেতর আটকে রেখে জোরপুর্বক ধর্ষণ চেষ্টা চালায়।
ভিকটিমের মাদ্রাসায় পড়ুয়া কিশোর ছোট ভাইয়ের বাঁধার মুখে লম্পট শাহীন ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ঘটনার রাতে জুতো- জামা ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর শাহীনের বাবা এক সময়ের আন্ত:উপজেলা ডাকাত দলের সদস্য চাঁন মিয়া ওরফে চান্দু ডাকাত তার জেষ্ট ছেলে শামীম ভিকটিম ও তার বিধবা মাকে ভয় -ভীতি দেখিয়ে গ্রামের অন্য দুই যুবককে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় জড়িয়ে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করে বিপুল অংকের অর্থ আদায়ে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করায়। এলাকার লোকজন গোটা বিষয়টি সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বিপিএমের নজরে আনলে অধিকতর পুলিশী তদন্তে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেড়িয়ে আসে গর্তের সাপ। পুলিশী তদন্তে উঠে আসে ডাকাত চান্দু ও তার ছেলে শামীমের ভয়াবহ পরিকল্পনা কথা। ভিকটিম ও ভিকটিমের মা পুলিশকে জানায় ভয় -ভীতি দেখিয়ে অপর খালাত ভাইয়ের সাথে বিয়ে দেবার নাম করে ছেলে শাহীনের অপকর্ম আড়াল করাতে চান্দু ও তার বড়ছেলে শামীমের পরিকল্পনায় গ্রামের অন্য দুই যুবককে মামলায় ফাঁসিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করিয়ে দেবার প্রলোভন দেখায়। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে চান্দুর ছেলে শাহীনকে নেয়া হয় পুলিশী হেফাজতে। বৃহস্পতিবার রাতে ভিকটিমের বিধবা মা ভাইপো শাহীনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।।#
Leave a Reply