এইবেলা রেসিপি ::
আজকের রেসিপিটা একটু অন্য রকম। আমরা পুইশাক অনেকে শুধু শাক হিসাবেই খাই। পাতা গুলো ও নরম ডগাটা নিয়ে বাকী অংশ গুলো ফেলে দেই। কিন্তু নিজের টাকায় কেনা জিনিসের কি এভাবে অপচয় সহ্য করা যায়। তারপর এখন করোনা কাল বাজার করা অনেক রিক্স। তাই একটা নতুন রেসিপি দিলাম যাতে আপনার টাকার অপচয় না হয়।
উপকরণ- শাক হিসাবে পাতা নেওয়ার পর পুইশাকের লতা ও গুড়া মাছ (ভাল হয় পুটি, টেংরা, মলা এই জাতীয় মাছ হলে।)
রান্না পদ্ধতি- পাতা নেওয়ার পর পুইশাকের যে লতা গুলো অবশিষ্ট থাকে সেই গুলো ডাটার মতো করে নিয়ে নিন। এবার মাছ গুলোকে অল্প তেলে ভেজে নিন। খেয়াল রাখবেন যাতে মাছ বেশি ভাজি না হয়। মাছ ভাজি হয়ে গেলে ঐ পাতিলেই আপনার নেওয়া পুইশাকের অংশ গুলো ভেজে নিন। যখন দেখবেন নরম হয়ে আসছে তখন নামিয়ে নিন। (ভাজি করলে তরকারিতে ফ্লেভার আসবে ভাল এবং সিদ্ধ হবে তারাতারি।)
এবার পাতিলে অল্প তেল দিয়ে দিন যেহেতু মাছ ও পুইশাক লতা তেলে ভাজা। তেল গরম হয়ে আসলে পিয়াজ ও রসুন ছেড়ে দিন। পিয়াজ ও রসুন হলুদ কালার আসার পর মরিচ ও হলুদ দিয়ে দিন; মরিচ একটু বেশি দিতে হবে সাথে লবনটাও পরিমান মতো দিয়ে দিন। (আগে থেকেই একটা পাত্রে পানি দিয়ে মিক্স করে রাখুন। একটা কথা মনে রাখবেন আপনি যদি সরাসরি হলুদ ও মরিচের গুড়া গরম তেলের উপর দিয়ে দেন তাহলে পুড়ে যাবে এবং তরকারি তিতা লাগবে।)
মসলা ভাল ভাবে কষানো হয়ে গেলে পুইশাকের অংশ গুলো দিয়ে দিন এবং মষলা ভাল ভাবে মিক্স করে ডেকে দিন। হালকা তাপে ভাল করে কষিয়ে নিন। শুকনা শুকনা হয়ে আসলে ঝোল দিয়ে ভাজা মাছ গুলো উপরে ছেড়ে দিন। সাথে কয়েকটা কাচা মরিচ দিয়ে দিন। এবার অল্প তাপে বসিয়ে রাখুন। ঝোল কমে শুকনা শুকনা হয়ে আসলে নামিয়ে ফেলুন। যদি দেখেন পুইশাকের অংশ গুলো সিদ্ধ হয়নি তাহলে আরেকটু ঝোল দিয়ে বসিয়ে রাখুন। এভাবেই হয়ে যাবে আপনার স্বাদ ও পুষ্টিতে ভরা তরকারি।
আপনি যদি সঠিক ভাবে রান্না করতে পারেন তাহলে কোন দিনও পুইশাকের লতা ফেলে দিবেননা এইটা আমি হলফ করে বলতে পারি।
রেসিপি তৈরি করেছেন- সিএনআরএস ‘সূচনা’ প্রকল্পের কুলাউড়া উপজেলা কো-অর্ডিনেটর তৌহিদুর রহমান।
Leave a Reply