কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মসজিদ কমিটির পদপদবি পেতে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে আইয়ুব আলী গংদের হামলায় প্রতিপক্ষ সফর মিয়াসহ ৩ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের আশঙ্কায় প্রতি শুক্রবার পুলিশি উপস্থিতি জুমআ’র নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। তবে গত সপ্তাহে পুলিশি অনুপস্থিতিতে হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা পাল্টা হামলায় নিজেদের ৩ জন আহতের দাবি করেছেন। গত শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ২টায় উপজেলার শমশেরনগরের দক্ষিণ রাধানগর বায়তুস সালাম জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মসজিদ কমিটি ও নেতৃত্ব নিয়ে শমশেরনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাধানগর বায়তুস সালাম জামে মসজিদের দু’পক্ষের বিরোধ চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে কমলগঞ্জ থানায়ও সাধারণ ডায়েরী রয়েছে। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে সংঘর্ষের আশঙ্কায় গত তিনমাস যাবত পুলিশি উপস্থিতিতে মুসল্লিরা মসজিদে জুমআ’র নামাজ আদায় করেন। গত শুক্রবার পুলিশ উপস্থিত না হলে আইয়ুব আলী গংদের হামলায় সফর মিয়া গংদের ৩ জন আহত হয়েছেন। তবে পাল্টা হামলায় আয়ুব আলী গংদেরও ৩ জন আহত বলে দাবি করছেন।
দক্ষিণ রাধানগর বায়তুস সালাম জামে মসজিদের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মো. আলাউদ্দীন বলেন, আইয়ুব আলী, সাইফুল ইসলাম, নওশাদ মিয়া, মতিন মিয়াসহ কয়েকজন ব্যক্তি মসজিদ কমিটির পদপদবি ও নেতৃত্বের জন্য দীর্ঘদিন ধরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছেন। ইতিপূর্বে থানায় জিডিও করা হয়েছে। এরপর থেকে বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশি উপস্থিতি মসজিদে জুমআ’র নামাজ আদায় হতো। তিনি আরও বলেন, গত শুক্রবার বিশেষ কারণে পুলিশের উপস্থিতি না থাকায় আইয়ুব আলী, সাইফুল ইসলাম, নওশাদ মিয়া গংরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে সফর মিয়া (৪৫), ইমদাদুল হক সালাউদ্দিন (৩৬) ও আতাউর রহমান (২৭) কে রক্তাক্ত জখম করে। আহতদের কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সফর মিয়া বাদি হয়ে ১২ জনকে আসামী করে শুক্রবার কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ বিষয়ে প্রতিপক্ষের নওশাদ মিয়া বলেন, তারা কমিটি পুর্ণাঙ্গ না করে আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে মসজিদের হিসাব নিকাশ প্রদান করছেন না। এসব বিষয়ে দাবি করলে হামলার হুমকি দেয় এবং হামলার আশঙ্কায় পুলিশি উপস্থিতিতে জুমআ’র নামাজ আদায় করা হয়। গতদিন পুলিশ না থাকায় তারা হামলা চালিয়ে জাহিদ মিয়া (৩০), আবুল হোসেন (৩০) ও মুয়িদ আলী (১৯) কে আহত করে। এঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান এর মোবাইল ফোনে কয়েক দফা কল করার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
Leave a Reply