আব্দুর রব/আলামিন আহমদ:: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এমপি বলেছেন, ১২ বছর আগের পুলিশ আর এখনকার পুলিশ এক নয়, পুলিশ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি জনবান্ধব ও মানবিক। স্বাধীনতা যুদ্ধে পুলিশের অসামান্য অবদান রয়েছে। প্রত্যেকটি এলাকায় ২/১ জন পুলিশ সদস্য মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছে, অস্ত্র দিয়েছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে পুলিশ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। দেশ স্বাধীনের পর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, জনগনের সেবক হয়ে তোমাদের কাজ করতে হবে। তোমাদের নিয়ে আমি যেন গর্ব করতে পারি। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী সে লক্ষেই এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি শনিবার বিকেলে মৌলভীবাজারের জুড়ীতে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪তলা বিশিষ্ট নবনির্মিত থানা ভবনের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পরিবেশমন্ত্রীসহ অতিথিবৃন্দ পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ পিপিএম রচিত ‘একটি আধুনিক থানার জন্মকথা’ শীর্ষক স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।
সুধী সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ পিপিএম।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এমপি আরো বলেন, মাদকের ভয়ঙ্কর ছোবল থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে হবে। যেভাবে জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ নির্মুল করা হয়েছে সেভাবে নতুন প্রজন্মকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে বাঁচাতে পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর সাথে আমাদের সকলকে দায়িত্ব নিতে হবে। তবেই যুবশক্তিকে কাজে লাগিয়ে কাঙ্খিত উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন হবে। ‘মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হতে আমাদের সব অর্জন ঠিকঠাকমতো চলছে। অচিরেই আমরা উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হব।’ পুুলিশের সকল পর্যায়ে যথেষ্ট পরিবর্তন লক্ষণীয়। পুলিশ আজ মানবিক পুলিশে পরিণত হয়েছে। তারা কোভিডের সময় এর সাক্ষর রেখেছে। যখন সন্তান তার বাবার লাশের কাছে যায়নি তখন পুলিশই প্রথম এগিয়ে এসে দাফন কাফন করেছে।’
কোভিড-১৯ মোকাবেলা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় পথ হারাইনি বলে এই মহামারি আমরা সফলভাবে মোকাবেলা করতে পেরেছি। ফলে কৃষি শিল্পসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।’
মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়ার সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সুদর্শন কুমার রায়ের সঞ্চালনায় থানা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপি, নেছার আহমদ এমপি, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ, জুড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা বদরুল হোসেন প্রমুখ।
নবনির্মিত থানা ভবনের উদ্বোধনের পর মন্ত্রীদ্বয় থানা প্রাঙ্গণে গোলাপ ও কামিনীবৃক্ষের চারা রোপণ করেন। এরপর স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও আওয়ামী লীগ নেতারা দুই মন্ত্রীকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
Leave a Reply