এইবেলা, কুলাউড়া ::
উন্নয়ন বঞ্চিত অবহেলিত জনপদ কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা-কলিমাবাদের সড়ক। যেখানে কখনই পড়েনি উন্নয়নের ছোঁয়া। যেন দেখার কেউ নেই। জনপ্রতিনিধিদের দিকে চেয়ে চেয়ে ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত প্রবাসী ও স্থানীয় যুবকদের উদ্যোগে চলছে রাস্তার সংস্কার।
সরেজমিনে ঘুরে ও এলাকাবাসীর সাথে আলাপকালে জানা যায়, স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ৩নং ভাটেরা ইউনিয়নের কলিমাবাদ গ্রামের রাস্তার। এই রাস্তাটি স্থানীয় ভাটেরা বাজার থেকে ঠিক পশ্চিমে যে রাস্তাটি প্রবেশ করে মাইজগাঁও হয়ে কলিমাবাদ হয়ে ইসলাম নগর প্রবেশ করেছে।
কলিমাবাদ গ্রামের তরুণরা তাদের রাস্তার বেহাল অবস্থার চিত্র ফেইসবুকে বার বার আপলোড করছেন যাতে করে সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের দৃষ্টিগোচর হয়। গ্রামের সাধারণ ভুক্তভোগীরা আশাবাদী তাদের গ্রামের রাস্তারটি দ্রুত সরকার পাকাকরণ করার উদ্যোগ নিবেন। তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন আমরা এই পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার এবং বিএনপি-জামায়াত সরকার পেয়েছি কিন্তু কেউ আমাদের এই রাস্তার সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি।
এলাকাবাসী আরও জানান, আমাদের ভোটে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পাটির এমপি হয়ে সংসদে গিয়েছেন কিন্তু আমাদের ভাটেরা ইউনিয়নের এই অবহেলিত কলিমাবাদ গ্রামের রাস্তার কথা মনে রাখেননি কেউ ই। তাই আজ পর্যন্ত এই রাস্তায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ভাটেরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সহযোগিতা পেলে আমাদের এই রাস্তার সংস্কারের কাজ হওয়া সম্ভব বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
দেখা গেছে- তরুণরা এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে নিজ উদ্যোগে রাস্তার মেরামতের কাজ সহ এবং কলিমাবাদ গ্রামের সবধরনের উন্নয়ন মূলক কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে তারা প্রবাসীদেরকে পাশে পাওয়ায় কাজগুলো সহজ হয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, রাস্তাটির সংস্কার ও মেরামতের জন্য এপর্যন্ত দেশে ও প্রবাসে যারা আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে ও শ্রম দিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন তাদের অন্যতম হলেন, ভাটেরা ফ্লাওয়ার্স স্পটিং ক্লাবের তরুণদের এই মহতি উদ্যোগ প্রশংসনীয় যারা সার্বক্ষনিক রাসস্তার কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা হলেন, আব্দুল হান্নান সিদ্দিকী, ভাটেরা বাজার বনিক সমিতির সভাপতি হুসেন আহমদ, আকলো মিয়া, মুমিন আহমদ, ভাটেরা ফ্লাওয়ার্স স্পটিং ক্লাবের সভাপতি মঈন উদ্দিন (রাহাত) প্রমুখ।
এলাকাবাসীরা জানান, প্রবাসী ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় রাস্তা সংস্কার হলেও এর ফলাফল সাময়িক। সরকারী উদ্যোগ ব্যতিত রাস্তাটির দীর্ঘমেয়াদী নির্মাণ সম্ভব নয়। তাই সরকারের মন্ত্রী-এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সরকার স্থায়ী সমাধানের একটা উদ্যোগ নিলে এই জনপদের মানুষ সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে বলে জানান স্থানীয় অধিবাসী।#
Leave a Reply