স্টাফ রিপোর্ট::
ভারতীয় কয়লা চোরাচালান মামলায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সীমান্ত গ্রাম হতে দুই চোরাচালানীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের লাকমা নয়া পাড়ার ইসমাইল মিয়ার ছেলে হেলাল মিয়া, একই গ্রামের কাশেম মিয়ার ছেলে সিদ্দিক মিয়া ওরফে ছিদ্দু মিয়া।
সোমবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এরপুর্বে রোববার রাতে থানার টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির দায়েত্বে থাকা এএসআই বাদী হয়ে ওই দুই জনকে গ্রেফতার ও ৯ জনকে পলাতক আসামী দেখিয়ে কয়লা চোরাচালানের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেন।
সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার।
মামলা সুত্রে জানা গেছে,উপজেলার লাকমা নতুন পাড়া সীমান্ত গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে ফারুক মিয়ার বসত বাড়ি হতে চোরাচালানের মাধ্যমে ভারত থেকে কয়লার চালান এনে মজুদকৃত ২৫ বস্তা (১২৫০ কেজি) একটি অবৈধ চালান সীমান্তে ফের জব্দ করে পুলিশ।
ওই কয়লা চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকায় হেলাল মিয়া ও ছিদ্দিক মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রাতে গ্রেফতারকৃতদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদে সীমান্তে কয়লা চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকায় আরো ৭ ব্যাক্তি জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয় পুলিশ।
এরপর রাতে দুইজনকে গ্রেফতার ও উপজেলার লাকমা,চারাগাঁও, বিন্নারবন গ্রামের ৯ জনকে পলাতক দেখিয়ে ১১ জনকে আসামী করে থানার টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির দায়েত্বে থাকা এএসআই শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সোমবার সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল জানায়,সীমান্তে, মাদক,ভারতীয় নাসির বিড়ি,কসমেটিকস,বিনাশুল্কে নিয়ে আসা চোরাই কয়লা,কথিত বাংলা কয়লা, চুনাপাথর,পাথর সহ সব ধরণের চোরাচালান প্রতিরোধে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান (বিপিএম) বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন।
এরপরই তিন দফা বিশেষ অভিযানে বিনা শুল্কে চোরাচালানের মাধ্যমে ভারত হতে নিয়ে আসা চারটি ষ্টিল বডি ট্রলার বোঝাই চোরাই কয়লার চালান, ১২৫০ কেজি কয়লা জব্দ, ৬ চোরাকারবারীকে তাহিরপুরের পাটলাই নদী এবং লাকমা সীমান্ত গ্রাম থেকে থানা পুলিশ আটকের পর মামলা দায়ের পূর্বক জেলা কারাগারে পাঠায়।।#
Leave a Reply