এইবেলা, বিপনন-::
‘কুলাউড়ায় সরকারি রাস্তা বাদ দিয়ে ব্যক্তিগত রাস্তায় কাজ করার চেষ্টা’ শিরোনামে বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম ও পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদে আমাকে জড়িয়ে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে -তা সঠিক নয়। রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে একটি মহল আমাকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে।
কিছুদিন পূর্বে জেলা পরিষদ থেকে আমার বাড়ীর সম্মূখে রবিদাস বাড়ী হতে মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল সাহেবের বাড়ী পর্যন্ত ইটসোলিং রাস্তা নির্মাণের সিডিউল ঘোষণা হয়। আমার জানা মতে, হাজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চুর আবেদনক্রমে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।
যা চেয়ারম্যান নিজে আমাকে এবং আমার প্রতিবেশী মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজদ উল্লাহ সাহেবের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল সাহেব এবং উনার অন্যান্য ছেলেদেরকে বলেন।
তিনি বলেন, রাস্তাটির টেন্ডার হয়ে গেছে, অচিরেই কাজ শুরু হবে। কিন্তু ঠিকাদার আসার পর এই রাস্তাটি বাদ দিয়ে পশ্চিম দিকে অপর একটি ইটসোলিং করা রাস্তা, যেটি রবিদাস বাড়ী হতে মোমিন আলীর বাড়ী পর্যন্ত, চেয়ারম্যান সেটি দেখান।
কিন্তু ঠিকাদাররা এই রাস্তাটি সিডিউল মোতাবেক নয় বলে জানান। পরবর্তীতে গত শনিবার ১১ জুলাই জেলা পরিষদের প্রধান প্রকৌশলী পর্যবেক্ষণে আসলে তিনি মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল সাহেবের বাড়ীর রাস্তা ও সরকারি পোস্ট অফিস পর্যন্ত দেখেন। দেখে বেড়ীবাঁধে উঠার পর চেয়ারম্যানের দেখানো সেই পূর্বের ইটসোলিং করা রাস্তা পরিদর্শণ করেন। এ রাস্তাটি সিডিউল মোতাবেক নয়, বলে চেয়ারম্যানকে প্রকৌশলী জানান।
ওই সময়েই চেয়ারম্যান প্রকৌশলীকে সিডিউল ব্যতিরেকে উনার দেখানো রাস্তা নির্মাণের জন্যে চাপ প্রয়োগ করেন। এক পর্যায়ে প্রকৌশলীকে অসম্মানমূলক কথাবার্তা বলেন। আমি এবং মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল সাহেব ও অন্যান্যরা এর তীব্র প্রতিবাদ করি এবং সিডিউল মোতাবেক কাজ করার জন্যে আমরা সবাই প্রকৌশলীকে আহব্বান জানাই।
কিন্তু অত্যন্ত দূঃখের বিষয় এই বিষয়টাকে সম্পূর্ন অসত্যভাবে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে লিখিয়ে চেয়ারম্যান নিজে উনার ফেইসবুক আইডি থেকে শেয়ার করেন। অথচ সিডিউলেই উল্লেখ আছে রাস্তাটি রবিদাস বাড়ী হতে মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল সাহেবের বাড়ী পর্যন্ত। কিন্তু চেয়ারম্যান অযথা অসৎ উদ্দেশ্যে আমাকে জড়িয়ে জেলা পরিষদ এবং বিভিন্ন জায়গায় বলে যাচ্ছেন যে, এটা বিএনপি নেতার বাড়ীর রাস্তা । এছাড়াও অযৌক্তিক কথাবার্তা বলে বেড়াচ্ছেন, যা একজন চেয়ারম্যান হিসেবে খুবই নিন্দনীয়।
যার কথা এবং কাজে কোনো মিল নেই এবং ফেইসবুকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইউনিয়নের জরুরি কাজকর্ম ফেলে কোনো চিন্তা ভাবনা না করে যখন যাহা মনে আসে তা নিয়ে অযথা আমার এবং হাজীপুরবাসীর মধ্যে সম্প্রীতি নষ্ট করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। এসব কোনো চেয়ারম্যানের নিকট কাম্য নয়।
আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ফারুক আহমদ পান্না, সভাপতি, হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপি।
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply