বড়লেখায় হলিলাইফ হাসপাতালে বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই রমরমা চিকিৎসা ব্যবসা বড়লেখায় হলিলাইফ হাসপাতালে বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই রমরমা চিকিৎসা ব্যবসা – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ছাত‌কে গায়েবি প্রশিক্ষণের টাকা সরকারি কর্মকর্তার পকেটে! নিটার-ইপিলিয়ন এমওইউ নবায়ন, সুযোগ বাড়ছে নিটার শিক্ষার্থীদের কমলগঞ্জে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিদায় সংবর্ধনা কমলগঞ্জে দূর্গন্ধযুক্ত ও পঁচা টিসিবির চাল বিতরণের অভিযোগ লন্ডনে সার্কেল পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ও সরপঞ্চ বিষয়ক স্মারকগ্রন্থ কালের অভিজ্ঞান-এর মোড়ক উন্মোচন বড়লেখায় এনসিসি ব্যাংকের বৃক্ষরোপন ও চারা বিতরণ  মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি নেতা আজমল আলী সেন্টু অস্ত্রধারীর গুলিতে মারা গেলেন নিউইয়র্ক পুলিশ অফিসার কুলাউড়ার যুবক রতন জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে বড়লেখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আলোচনা সভা ও মেডিকেল ক্যাম্প সরকারি কাজে বাঁধা ও ইউএনওকে হুমকি ওসমানীনগরে এক সমন্বয়েকর ২ মাসের কারাদন্ড

বড়লেখায় হলিলাইফ হাসপাতালে বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই রমরমা চিকিৎসা ব্যবসা

  • শুক্রবার, ১৭ জুলাই, ২০২০

জরিমানা : কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা

আব্দুর রব, বড়লেখা ::

বড়লেখায় স্বাস্থ্য বিভাগের বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই রমরমা চিকিৎসা ব্যবসা চালানোসহ নানা অনিয়মের দায়ে হলিলাইফ স্পেশালাইজড নামক বেসরকারী হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেইসাথে লাইসেন্স গ্রহণ না করা পর্যন্ত হাসপাতালটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর শহরের দক্ষিণবাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামীম আল ইমরান। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রত্মদীপ বিশ্বাস, থানার ওসি (তদন্ত) রতন দেবনাথ।

জানা গেছে, স¤প্রতি একজন রোগীর পক্ষে তার স্বজন বেসরকারি এই হাসপাতালটির বিরুদ্ধে যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ করেন। একইসাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোহাম্মদ নুর নবী রাজুকেও অভিযুক্ত করেন। যিনি ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মৌসুমী কিবরিয়ার স্বামী। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত হাসপাতালটিতে অভিযান চালায়। এসময় দেখা যায়, হাসপাতালের বৈধ কোন লাইসেন্স নেই, রয়েছে মেয়াদ উত্তীর্ণ রি-এজেন্ট ও সরকারি হাসপাতালের ঔষধ। হাসপাতালে সেবা কার্যক্রমেরও কোনো মূল্য তালিকা নেই। নেই হাসপাতালের অভ্যন্তরের ফার্মেসির ড্রাগ লাইসেন্স। এসব কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সেই সাথে লাইসেন্স গ্রহণ না করা পর্যন্ত হাসপাতালের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রতœদীপ বিশ্বাস জানান, ‘একজন ভুক্তভোগী রোগীর স্বজন উক্ত প্রতিষ্ঠান ও সরকারী হাসপাতালের একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এরপর প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। এতে প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স না থাকাসহ নানা অভিযোগে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া যে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তার বিষয়টি বিভাগীয়ভাবে তদন্ত করে দেখা হবে।’

ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামীম আল ইমরান জানান, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালানো হয়। হাসপাতালের বৈধ লাইসেন্স পাওয়া যায়নি। অনেকগুলো অনিয়ম পাওয়ায় জরিমানা ও হাসপাতালটির সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সরকারি ঔষধ কি করে এখানে এসেছে, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews