বড়লেখায় শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন নিবন্ধনের স্বাক্ষর প্রদানে প্রধান শিক্ষকের টাকা আদায় বড়লেখায় শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন নিবন্ধনের স্বাক্ষর প্রদানে প্রধান শিক্ষকের টাকা আদায় – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শ্রীমঙ্গলে এসএমই ফাউন্ডেশনের ঋণ ম্যাচমেকিং কর্মসূচি ও ব্যাংকার-উদ্যোক্তা মত বিনিময় সভা ৪শ’ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক নিদর্শণ আত্রাইয়ের তিন গুম্বুজ মসজিদ-মঠ সিলেট তালতলা ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের আহবায়ক কমিটি গঠন জেলা প্রশাসকের সাথে কুলাউড়ায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মতবিনিময় কুলাউড়ার সদপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ বড়লেখায় বিজিবির হাতে রুপিসহ ভারতীয় নাগরিক আটক কুড়িগ্রামে ঘর-বাড়ি ফসলি জমি রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙন রোধের চেষ্টা গ্রামবাসীর    সিলেটে বিএনপির বিশাল শোডাউন সিলেট নগরীতে ব্যাটারি ও সিএনজি চালিত রিকশা চলাচলে নতুন নির্দেশনা ঘরহারা বন্যার্তদের পাশে কুলাউড়া এসোসিয়েশন অব নিউজার্সি ইউএসএ

বড়লেখায় শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন নিবন্ধনের স্বাক্ষর প্রদানে প্রধান শিক্ষকের টাকা আদায়

  • মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২২

বড়লেখা প্রতিনিধি :

বড়লেখায় স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীর করোনা ভ্যাকসিনের নিবন্ধন ফরমে স্বাক্ষর প্রদানে কেছরীগুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদ আহমদ খান নিয়ম বর্হিভুতভাবে শিক্ষার্থী প্রতি ২০ টাকা করে আদায় করেছেন। মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এ নিয়ে প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে ক্ষুব্দ হয়ে উঠেন।

জানা গেছে, বড়লেখার ৩৭টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিন (টিকা) কার্যক্রম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে শুরু হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের তত্ত্বাবধানে ইতিপূর্বে শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। শিক্ষার্থীদের টিকা কার্ডের নির্ধারিত ফরমে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর প্রদানের পরই স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে টিকা প্রদান করছেন। কেছরীগুল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২ থেকে ১৭ বছরের ৪৭০ জন শিক্ষার্থী টিকার জন্য নিবন্ধিত হয়। সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক জাহিদ আহমদ খান নানা খরচের দোহাই দিয়ে শিক্ষার্থী প্রতি ২০ টাকা করে আদায় করতে থাকেন। কোন শিক্ষার্থী টাকা না দিলে তিনি তার নিবন্ধন ফরমে স্বাক্ষর করছেন না। এ নিয়ে মঙ্গলবার সকালে কতিপয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষুব্দ হয়ে উঠেন। নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শাহারা নবাব জুই’র বাবা শরফ উদ্দিন নবাব, ফৌজিয়া রহমানের বাবা আব্দুর রহমান, অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী জহুরা ফেরদৌসীর বাবা নুরুল ইসলাম, সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ফারজানা বেগমের বাবা খলু মিয়া প্রমুখ অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষক ২০ টাকা না দিলে টিকা ফরমে স্বাক্ষর করেননি। পরে বাধ্য হয়ে তারা টাকা পরিশোধ করে স্বাক্ষর আদায় করেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাওলাদার আজিজুল ইসলাম জানান, করোনা ভ্যাকসিনের নামে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে একটি পয়সাও নেওয়ার নির্দেশনা নেই। অভিযোগ পেয়েই তিনি ওই প্রধান শিক্ষককে দ্রুত শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে টিকার দোহাই দিয়ে আদায়কৃত টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। টাকা ফেরত না দিলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রধান শিক্ষক জাহিদ আহমদ খান জানান, অডিটোরিয়ামের (টিকা কেন্দ্র) ভাড়া ও সেখানে যাতায়াত বাবত শিক্ষার্থী প্রতি তিনি ২০ টাকা করে নিয়েছিলেন। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আদায়কৃত টাকা ফেরত প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি তা রিটার্ন করবেন।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews