এইবেলা, বড়লেখা ::
জুড়ী উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি হাসান তারেককে উপজেলার ৬ ইউনিয়ন যুবলীগ অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে। শুক্রবার ৬ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যৌথ প্যাডে তার বিরুদ্ধে স্বাক্ষর প্রদান করেন।
জানা গেছে, যুবলীগকে ‘জোবলীগ’ ও বিভিন্ন সময় উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মামুনুর রশীদ সাজু এবং সাধারণ সম্পাদক শেখরুল ইসলামকে নিয়ে কটুক্তি করেন উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি হাসান তারেক। এ অভিযোগে উপজেলার ৬ ইউনিয়ন যুবলীগের নেতৃবৃন্দ বৃহস্পতিবার বিকেলে সভার আয়োজন করেন। এতে সর্ব সম্মতিতে হাসান তারেককে অবাঞ্চিত ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়। অবাঞ্চিত ঘোষণাকারীগণ হচ্ছেন- গোয়ালবাড়ী ইউপি যুবলীগের সভাপতি এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী মাসুম, সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন জেবুল, জায়ফরনগর ইউপি যুবলীগের আহবায়ক আবুল খায়ের সাইমন, যুগ্ম আহবায়ক কয়ছর রশীদ রুবেল, মতিউর রহমান রাজিব, ফুলতলা ইউপি যুবলীগের আহবায়ক জাহেদ আহমদ, যুগ্ম আহবায়ক সানি পান্ডে, ছায়াদ আহমদ, পূর্বজুড়ী ইউপি যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সৌরভ দে সরকার, পশ্চিম জুড়ী ইউপি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, সাগরনাল যুবলীগের সভাপতি শাহজাহান আলম, সম্পাদক সানাউল ইসলাম চৌধুরী শাওন।
সাগরনাল ইউপি যুবলীগ সম্পাদক সানাউল ইসলাম চৌধুরী শাওন ও জায়ফর নগর ইউপি যুগ্ম আহবায়ক কয়ছর আহমদ রুবেল জানান, হাসান তারেক উপজেলা যুবলীগের গুরুত্বপুর্ণ পদে থেকেও নিজ সংগঠনের নাম ব্যঙ্গ করে যুবলীগকে ‘জবোলীগ’ সহ উপজেলা পর্যায়ের সিনিয়র নেতা কর্মীকে নিয়ে নিজের ইচ্ছেমত কুরুচিপুর্ণ মন্তব্য করেছেন। যুবলীগ একটি সুসংগঠিত সংগঠন। সেই সংগঠন নিয়ে কেউ বাজে মন্তব্য করলে আমরা তাকে ছাড় দিতে পারি না। তাই তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে লিখিত চিঠি উপজেলা ও জেলায় পাঠিয়েছি।
উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি হাসান তারেক জানান, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়। অবাঞ্চিত ঘোষণার প্যাডে যারা স্বাক্ষর করেছেন তাদের অনেকেই বলেছেন, দুইজন বিতর্কিত নেতা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের স্বাক্ষর আদায় করেছেন। বিষয়টি তিনি উপজেলা ও জেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেছেন।#
Leave a Reply