সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি ::
স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতনের পর চার সন্তানসহ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী পুলিশের এক এটিএসআই’র বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকালে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বাদাঘাটের ছড়ারপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্বামীর ঘর থেকে বিতাড়িত হয়ে সন্তানদের নিয়ে ভুক্তোভোগী নারী উপজেলার টেকেরঘাটে তার খালার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
অভিযুক্ত পুলিশের এটিএসআইর নাম শফিকুল ইসলাম। সে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ছড়ারপাড় গ্রামের মৃত কালু ফকিকের ছেলে। বর্তমানে সিলেট জেলা পুলিশ লাইনসে এটিএসআই হিসাবে কর্মরত রয়েছেন শফিকুল।
এদিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে ঘটে যাওয়া এমন বর্বর ঘটনা জানাজানির পর এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এটিএসআই শফিকুল ইসলাম জানান, পারিবারিক কলহের কারণে স্ত্রীকে একটু মারধর করেছেন।
বাড়ি থেকে তাড়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে স্ত্রী বাড়ি থেকে চলে গেছেন। তবে এর স্বপক্ষে তিনি কোনো প্রমাণাদি উপস্থাপন করতে পারেননি।
ভুক্তোভোগীর ভাই তারেক আজিজ বলেন, বিয়ের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আমার বোনের ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছে কনস্টেবল শফিকুল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে সিলেট পুলিশ লাইসন থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি আসার পর আমার বোনকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক পেটায় শফিকুল। আমার বোন নিয়াতন সইতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে গেলে লাঠি দিয়ে দু’পায়ের তলায় ফের পিটিয়ে জখম করে। তাকে পিটিয়ে চোখ ও শরীর রক্তাক্ত করে শফিকুল। এরপর আইনি জঠিলতা এড়াতে গোপনে আমার বোনকে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করায়।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে তাহিরপুরের ছড়ারপাড় গ্রামের বাড়ি থেকে আমার বোনকে চার সন্তানসহ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন ভগ্নিপতি এটিএসআই শফিকুল।স্বজনদের সঙ্গে যেন যোগাযোগ না করতে পারে, সেজন্য তার মোবাইল ফোনটিও কেড়ে নেন শফিকুল ও তার মা। অতীতে এসব নির্যাতনের বিষয়ে সোচ্চার হলে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করার হুমকি দিয়েছেন শফিকুল ইসলাম।বোনকে তালাকের হুমকি দিয়ে বেড়ান শফিকুল।
অভিযোগ রয়েছে, এটিএসআই শফিকুল জুয়া ও পরকীয়ায় আসক্ত । যে কারণে গত কয়েক বছরে সিলেট মহানগরীতে কমপক্ষে ২০বার ভাড়া বাসা বদলাতে হয়েছে তার।
জানা গেছে, এটিএসআই শফিকুলের এক সহোদর ভাই একটি হত্যা মামলায় সাজাভোগ করেছেন। অপর সহোদর ছোট ভাই আশিক এক মোটরসাইকেল চালককে হত্যার মামলায় জেল হাজতে রয়েছেন।#
Leave a Reply