এইবেলা ডেস্ক ::
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় বজ্রপাতে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বজ্রপাতে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার সকাল এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- শাল্লা উপজেলার নাছিরপুর গ্রামে বজ্রাঘাতে মুকুল খাঁ (৫০) ও তার ছেলে মাসুদ খাঁর (৭) মৃত্যু হয়। এছাড়া হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় নিহতরা হলেন- আলমগীর মিয়া (২৬), হোসাইন (১২) ও ঝুমা বেগম (১৩)।
এ ব্যাপারে শাল্লা থানার ওসি জানান, মাসুদ খাঁ তার দুই ছেলে ও শ্যালক পুত্রকে নিয়ে বাড়ির পাশে জমিতে কৃষি কাজ করতে যান। সকাল ৭টার দিকে বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলে মুকুল খাঁ ও ছেলে মাসুদ খাঁর মৃত্যু হয়। নিহত মুকুল খাঁর আরেক ছেলে রিমন খাঁ (১১) ও শ্যালক পুত্র তানভীর হোসেন (৭) আহত হওয়ায় চিকিৎসার জন্য দ্রুত হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়েছে।
অপরদিকে হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বানিয়াচংয়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। এ সময় হাওরে ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যায় হোসাইন (১২) নামের এক শিশু। সে ৩নং দক্ষিণ-পূর্ব ইউনিয়নের তাঁতারী মহল্লার আক্কেল আলীর ছেলে।
একই সময়ে বাড়ির আঙ্গিনায় গাছ থেকে পেঁপে পাড়তে গিয়ে বজ্রপাতের আঘাতে মারা যায় ঝুমা বেগম (১৩) নামে অপর এক শিশু। সে একই ইউনিয়নের জাতুকর্ণপাড়া বড় বান্দের আব্দুর রহমানের মেয়ে।
এ সময় হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতের আঘাতে মারা যান খাগাউড়া ইউনিয়নের এড়ালিয়া গ্রামের সামছুল মিয়ার ছেলে কৃষক আলমগীর মিয়া (২৬)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মলয় কুমার দাশ। তিনি বলেন, তাদের তথ্য জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন হয়ে এলে তাদেরকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।#
Leave a Reply