বড়লেখা প্রতিনিধি :
দেশের সর্ববৃহৎ জলাভুমি হাকালুকি হাওরে গত এক সপ্তাহ ধরে বোরো ধান কাটা চলছে। শিলাবৃষ্টিসহ বৈরী আবহাওয়ার আশংকায় দ্রুত পাকা ধান কাটতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রচারণাও চালানো হচ্ছে। শনিবার কৃষকদের দ্রুত ধান কাটায় উৎসাহ প্রদানের লক্ষে বোরো ধান কাটা উৎসবের আয়োজন করে বড়লেখা কৃষি বিভাগ। কৃষকের ধান কাটার এ উৎসবে শামিল হন জনপ্রতিনিধি, কৃষি বিভাগসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক ও সাংবাদিক। কৃষি বিভাগ এবার হাকালুকির বড়লেখা অংশে ৩৫ হাজার মে.টন লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি বোরো ধানের উৎপাদন প্রত্যাশা করছে।
দুপুরে হাকালুকি হাওর পাড়ের তালিমপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর এলাকায় কৃষক বদরুল ইসলামের জমিতে ধান কাটা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবে কৃষকের সঙ্গে ধান কাটেন বড়লেখা উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, ইউএনও খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী, থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবল সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল লতিফ, সাংবাদিক আব্দুর রব, হাকালুকি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র দাস, কৃষক বদরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সুমন আহমদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য জাফর হোসেন প্রমুখ।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখায় এ মৌসুমে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয় ৪ হাজার ৯০০ হেক্টর। সরকারি প্রণোদনাসহ নানা সুযোগ সুবিধার কারণে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৪০ হেক্টর জমিতে। শনিবার পর্যন্ত প্রায় ২২ শতাংশ পাকা ধান কাটা হয়ে গেছে।
বড়লেখা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবল সরকার বলেন, ‘সার্বিক অবস্থা এখনো ভালো। ফলন ভালো হয়েছে। ৩৫ হাজার মে.টন ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এরচেয়ে বেশি উৎপাদন আশা করছেন। বৈরী আবহাওয়ার আশঙ্খায় ধান ৮০ শতাংশ পেকে গেলে দ্রæত কাটার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে এবং প্রচারণাও চালানো হচ্ছে। ধান কাটতে কৃষকদের উৎসাহ দিতে শনিবার হাকালুকি হাওর এলাকায় ধান কাটা উৎসবের আয়োজন করেন। কৃষকের সাথে জমিতে উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও, থানার ওসি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, রাজনীতিবি, শিক্ষক, সাংবাদিক সকলেই ধান কেটেছেন। এতে কৃষকরা আনন্দিত হয়েছে।’
Leave a Reply