এইবেলা, বড়লেখা ::
বড়লেখা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে সরকারি জলাশয়ের অবৈধ সেচকার্যে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার সহিদ আহমদসহ ভুক্তভোগী ১৫ ব্যক্তি মঙ্গলবার দুপুরে তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়থল গ্রামের বড় ঝালাই গ্রুপ (বদ্ধ) জলাশয়ের ইজারাদার সমিতি গত কয়েক দিন আগে বিধি বহির্ভুতভাবে ৩/৪টি পানির মেশিন বসিয়ে জলমহালটি শুকাতে থাকে। এ জলাশয়ের পানির ওপর আশপাশের বাসিন্দারা নির্ভরশীল। মেশিন বসিয়ে শুকিয়ে ফেলার অপচেষ্টায় ইজারাদারের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ইউএনও বরাবরে অভিযোগ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে বিলে চলমান সেচযন্ত্র বন্ধ করে ফিরে যান। কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ইজারাদারের লোকজন পুনরায় পানি সেচ শুরু করে। উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের নির্দেশে গত ২২ এপ্রিল মৎস্য কর্মকর্তা পুনরায় ঘটনাস্থলে গিয়ে সেচকাজে নিয়োজিত ৩টি পানির পাম্প জব্দ করেন। নিয়মানুযায়ী তিনি সেচযন্ত্রগুলো জব্দ করে উপজেলা প্রশাসনে জমা দিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন। কিন্তু তা না করে অভিযুক্তদের সাথে আঁতাত করে তিনি মেশিনগুলো স্থানীয় ইউপি কার্যালয়ে দিয়ে যান। এদিকে ইজারাদার সমিতির সভাপতি আনোয়ার আলী অবৈধ বিল সেচের প্রতিবাদকারীদের আসামি করে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।
ইউপি মেম্বার সহিদ আহমদ অভিযোগ করেন মৎস্য কর্মকর্তার সাথে আঁতাত করেই অসাধুরা বিল সেচ করেছে। পরে তার ইন্ধণেই আমিসহ প্রতিবাদকারীদের আসামি করে ইজারাদার সমিতির সভাপতি আনোয়ার আলী আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন যেদিন প্রশাসন বিল থেকে অবৈধ সেচমেশিন জব্দ করল, শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে দেখল, ওইদিন কিভাবে আমরা বিল থেকে মাছ লুট করলাম।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, ইউএনও ও এসিল্যান্ডের নির্দেশনা মোতাবেক ওই জলাশয় থেকে তিনি ৩টি সেচ মেশিন উদ্ধার করে স্থানীয় ইউপি কার্যালয়ে জমা রেখেছেন। নিয়মনীতি বহির্ভূত কোন কাজের সাথে তিনি সম্পৃক্ত নন।
Leave a Reply