এইবেলা, বড়লেখা :
বড়লেখা ও কুলাউড়ার আংশিক এবং জুড়ী উপজেলার পুর্ণ এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকের জরুরি সেবা প্রদানের লক্ষে ১৭ বছর পূর্বে জুড়ী নাইট চৌমুহনী এলাকায় একটি সাব-ইউনিট (অভিযোগ কেন্দ্র) অফিস চালু করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। এ সাব-ইউনিটের বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। গত ২৭ ফেব্রুয়ারী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড শুধুমাত্র আবাসিক প্রকৌশলী পদায়ন করেই এ অভিযোগ কেন্দ্রটিকে আবাসিক প্রকৌশলীর কার্যালয়ে উন্নীত করে। আবাসিক প্রকৌশলীসহ ৩১ পদের ২৭টিই শূন্য রয়েছে। ৩১ পদের বিপরীতে মাত্র ৪ জন দিয়ে গ্রাহকদের সামগ্রিক সেবা প্রদানতো দূরের কথা, আবাসিক কার্যালয়ের সিকি ভাগও কার্যসম্পাদন সম্ভব হচ্ছে না। ফলে প্রতিনিয়ত অসনীয় বিদ্যুৎ বিভ্রাটে গ্রাহকরা অতিষ্ট হচ্ছেন।
জানা গেছে, বড়লেখা ও কুলাউড়া উপজেলার আংশিক ও জুড়ী উপজেলার পূর্ণ এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকের জরুরি সেবা প্রদানের জন্য প্রায় ১৭ বছর আগে একজন সাব-এ্যাসিষ্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ারকে ইনচার্জ করে দুইজন হেল্পার নিয়ে জুড়ী নাইট চৌমুহনী এলাকায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একটি অভিযোগ কেন্দ্র চালু হয়। জনবল সংকটের কারণে গ্রাহকের অভিযোগ গ্রহণ করলেও তা সমাধানে তেমন ভুমিকা রাখতে পারেনি এ অভিযোগ কেন্দ্রটি। সংযোগের আবেদন, বিলিং সমস্যার সমাধান, লাইন সংস্কারসহ মুল কার্যক্রমগুলো কুলাউড়ায় নির্বাহী প্রকৌশলী ও মৌলভীবাজারে তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয়ে গিয়েই গ্রাহকদের দোঁড়ঝাপ দিয়ে করতে হয়। এতে গ্রাহকরা মারাত্মক দুর্ভোগ পোহান।
পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী উসমান গনি জানান গত ২২ ফেব্রুয়ারী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এ অভিযোগ কেন্দ্রটিকে ৩১ জন স্টাফ প্যাটার্নে শুধু আবাসিক প্রকৌশলী পদায়ন করে আবাসিক প্রকৌশলীর (আর.ই) কার্যালয়ে উন্নীত করে। এর প্রায় ৩ মাস অতিবাহিত হলেও এখনও ৩১ পদের ২৭টিই শূন্য রয়েছে। চরম জনবল সংকটে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা অসাধ্য হয়ে পড়েছে। ঝড়ে খুঁটি উপড়ে পড়া এবং গাছপালা পড়ে তার ছিড়ে যাওয়া লাইনের জরুরি মেরামত কাজ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে গ্রাহকরা ক্ষুব্দ হয়ে উঠছেন।
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply