এইবেলা, কুলাউড়া :: কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নে ০৮ জুন বুধবার সিদ্দেক আলী (১৪) নামক ৮ম শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছাত্রের অভিভাবকরা এক শিক্ষককে অভিযুক্ত করে এ বিষয়ে কুলাউড়া থানা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। আহত শিক্ষার্থী আলীনগর গ্রামের মখদ্দছ আলী ছেলে।
আহত মাদরাসা ছাত্রের পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন, বরমচাল খন্দকার মাদরাসা সহ-সুপার মাওলানা মাহতাবুর রহমান বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ ৮ম শ্রেণির ছাত্র সিদ্দেক আলীকে মারপিঠ করেন। এতে সে ঘাড়ে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়। মাদরাসার অভিভাবক কমিটির সদস্য কামাল উদ্দিনসহ এলাকার লোকজন আহত ছাত্রকে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তাররা সিদ্দেক আলীর ঘাড়ে এক্সরে করার নির্দেশ দেন। ঘাড়ের জখম গুরুতর হলে তাকে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।
পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন, গত দু’দিন থেকে শিক্ষক ছাত্রদের মারপিট করছেন। এজন্য মঙ্গলবার সিদ্দেক আলী মাদরাসায় যায়নি ভয়ে। বুধবার মাদরাসায় যাওয়ার পর শিক্ষকের নির্যাতনের শিকার হলো। মাদরাসার শিক্ষার্থীদের এভাবে মারপিট না করার জন্য অন্যান্য শিক্ষকরা সতর্ক করেন সহ-সুপারকে। কিন্তু তারপরও এধরনের ঘটনা সংঘটিত হলো।
অভিযুক্ত সহ-সুপার মাওলানা মাহতাবুর রহমান মোবাইল ফোনে জানান, বিষয়টি অনাকাঙ্খিত। দুষ্টামির কারণে তিনি মারপিট করেছেন। ঘটনার পর কমিটির লোকজনসহ বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে। ছাত্রের চিকিৎসা করানোর জন্য টাকা পয়সাও দেয়া হয়েছে। মারার সময় চড় মারতে গিয়ে ছাত্রের ঘাড়ে আঘাত লাগে।
সেই সাথে অভিযুক্ত শিক্ষক আরও জানান, এই ঘটনা নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। মাদরাসায় ব্যাপক অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার রয়েছে। যা সাক্ষাতে বলবেন বলেও জানান। তিনি সব বিষয় নিয়ে সরেজমিন তদন্ত করার অনুরোধ জানান।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। জেলায় মিটিংয়ে থাকায় আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পরবর্তীতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।##
Leave a Reply