জুড়ী প্রতিনিধি ::
জুড়ী উপজেলার আমতৈল গ্রামের এক প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ৭২ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার, লুন্ঠিত মোবাইল ফোন ও টাকার অংশবিশেষ এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে। মঙ্গলবার ভোর রাতে আব্দুল জলিল নামে এক ডাকাতকে বড়লেখা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্যে জুড়ী পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপর তিন ডাকাতকে গ্রেফতার, লুন্ঠিত টাকা, মোবাইল ফোন ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে। বুধবার আদালতের মাধ্যমে পুলিশ গ্রেফতারকৃতদের কারাগারে পাঠিয়েছে।
বৃধবার দুপুরে জুড়ী থানার সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সুদর্শন কুমার রায় জানান, গত ৪ জুন জুড়ী উপজেলার আমতৈল গ্রামের দুবাই প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়। ডাকাতরা কলাপসেবল গেট ও দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে বৃদ্ধ মহিলা ও শিশুদের বেধে জিম্মি করে টাকা, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৮ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এঘটনায় পরদিন প্রবাসীর স্বজন জিয়াউর রহমান থানায় ডাকাতি মামলা করেন।
বাদীর বক্তব্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ মঙ্গলবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে বড়লেখা উপজেলার পশ্চিম দক্ষিণভাগ গ্রামের একটি ভাড়া বাসা থেকে আব্দুল জলিল নামে এক ডাকাতকে গ্রেফতার করে। সে জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের হালগরা গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। পরে তার দেয়া তথ্যে পুলিশ জুড়ীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ডাকাতিতে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের রবাই মিয়ার ছেলে কামরুল ইসলাম, জামকান্দি গ্রামের হাজির উদ্দিনের ছেলে মারুফ আহমদ ওরফে সানু ও জায়ফরনগর ইউনিয়নের পশ্চিম ভবানীপুর (খালপাড়ের) আব্দুল করিম উরফে লকুছ মিয়ার ছেলে রবি মিয়াকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে মুলত তারা গরু চুরি করতো। কয়েক মাস ধরে গরু চুরি বন্ধ থাকায় ডাকাতিতে জড়িয়ে পড়ে। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাউসার দস্তগীর, থানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী, ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply