বড়লেখা প্রতিনিধি :
বড়লেখায় পানিবন্দী লোকজনের অস্থায়ি বসবাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৫২টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র খুলা হয়েছে। এরমধ্যে দাসেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৫১টি দুর্গত পরিবার। আশ্রিত পরিবারের সাথে রয়েছে তাদের স্কুল-মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলে-মেয়েও। এসব কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রধান শিক্ষক দীপক রঞ্জন দাস ২২ জুন থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে শুরু করেছেন পাঠদান কার্যক্রম। তাদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করেছেন বই, খাতা, কলমসহ আনুসাঙ্গিক শিক্ষা উপকরণ। প্রধান শিক্ষকের মহতি উদ্যোগে এ আশ্রয়কেন্দ্রে বিরাজ করছে শিক্ষার পরিবেশ। যা বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হচ্ছে।
দাসেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ১৫ দিন ধরে সেখানে বসবাস করছে বন্যায় তলিয়ে যাওয়া এলাকার দুর্গত ৫১টি পরিবারের দুই শতাধিক নারী, পুরুষ ও শিশু। এদের মধ্যে বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির ২০ শিক্ষার্থীও রয়েছে। বাড়িঘর বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বাবা-মায়ের সাথে তারাও দুর্ভোগ পোয়াচ্ছে। ঈদ ও গ্রীষ্মকালিন বন্ধ স্বত্তে¡ও বানভাসি আশ্রিতদের দেখভালে প্রতিদিনই স্কুলে আসছেন প্রধান শিক্ষক দীপক রঞ্জন দাস। তিনি বন্ধ শ্রেণিকক্ষে বন্যাদুর্গত শিক্ষার্থীদের পাঠদানের উদ্যোগ নেন। ২২ জুন থেকেই শুরু করেন পাঠদান কার্যক্রম।
প্রধান শিক্ষক দীপক রঞ্জন দাস জানান, তার স্কুলের বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে দেখতে পান দুর্গত বাবা-মায়ের সাথে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীও রয়েছে। হঠাৎ মাথায় চিন্তা আসে বন্যায় ওরাতো বেশ পিছিয়ে পড়েছে। এখানে থাকাকালিন নিয়মিত পাঠদানের ব্যবস্থা করলে তারা খুবই উপকৃত হবে। আশ্রয়কেন্দ্রের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সকাল ১১ টা থেকে শুরু করেন শ্রেণি কার্যক্রম। তিনি ও সহকারি শিক্ষক (কৃষি) হাসেম আলী ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে তাদের পাঠদান করছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে অধ্যয়ন করতে পারায় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরাও বেশ খুশি।
Leave a Reply