পোলট্রি ব্যবসায় ধ্বস : খামারির মাথায় হাত! পোলট্রি ব্যবসায় ধ্বস : খামারির মাথায় হাত! – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শ্রীমঙ্গলে এসএমই ফাউন্ডেশনের ঋণ ম্যাচমেকিং কর্মসূচি ও ব্যাংকার-উদ্যোক্তা মত বিনিময় সভা ৪শ’ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক নিদর্শণ আত্রাইয়ের তিন গুম্বুজ মসজিদ-মঠ সিলেট তালতলা ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের আহবায়ক কমিটি গঠন জেলা প্রশাসকের সাথে কুলাউড়ায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মতবিনিময় কুলাউড়ার সদপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ বড়লেখায় বিজিবির হাতে রুপিসহ ভারতীয় নাগরিক আটক কুড়িগ্রামে ঘর-বাড়ি ফসলি জমি রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙন রোধের চেষ্টা গ্রামবাসীর    সিলেটে বিএনপির বিশাল শোডাউন সিলেট নগরীতে ব্যাটারি ও সিএনজি চালিত রিকশা চলাচলে নতুন নির্দেশনা ঘরহারা বন্যার্তদের পাশে কুলাউড়া এসোসিয়েশন অব নিউজার্সি ইউএসএ

পোলট্রি ব্যবসায় ধ্বস : খামারির মাথায় হাত!

  • বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০২০

এইবেলা ডেক্স ::

লোকসানের বোঝা আর বইতে না পেরে অনেকটা পথে বসার উপক্রম হয়েছে খামারি নুরুল ইসলাম মোমিনের। লেখা-পড়া করে অন্য আট-দশজনের মতো প্রবাসে পাড়ি না জমিয়ে নিজের দেশে থেকে ব্যবসা করে সাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। সে লক্ষ্যে ৯ বছর আগে কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের রংগীরকুল এলাকায় নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় গড়ে তুলেছিলেন ‘মোমিন পোলট্রি ফার্ম’।

কয়েক বছর চলছিলো মোটামুটি ভালই। পরবর্তীতে মোরগের খাবার, ঔষধসহ সংশ্লিষ্ট জিনিসপত্রের দাম অনেকটা বেড়ে যায় এবং মাংসের দাম খরচ মোতাবেক কমে যাওয়ায় লোকসান দেখা দেয়। বর্তমানে দেশে করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকেই তার ফার্মেও অচলাবস্থা শুরু হয়। ধারদেনা আর লোকসানের বোঝা এতই ভারী হয়েছে, যা তিনি আর বইতে পারছেন না।

নুরুল ইসলাম মোমিন নামক তরুণ ওই উদ্যোগক্তা জানান, ২০১১ সাল থেকে পোলট্রি ফার্মটি শুরু করেন। প্রথম কয়েকবছর লাভ-লোকসানের ভারসাম্য নিয়ে মোটামুটি চলছিলো ব্যবসা। কাঙ্খিত স্বপ্নপূরণ না হলেও খাওয়া-চলার যোগান হচ্ছিল ফার্ম থেকে। কিন্তু পরবর্তীতে মোরগের খাবার, ঔষধসহ সংশ্লিষ্ট জিনিসপত্রের দাম অনেকটা বেড়ে যায় এবং মাংসের দাম খরচ মোতাবেক কমে যাওয়ায় লোকসান দেখা দেয়।

বর্তমানে পরিস্থিতি ভয়াবহ। পোলট্রির খাবারসহ সংশ্লিষ্ট সবকিছুর দাম উর্ধ্বমূখি, কিন্তু বিক্রি করতে গিয়ে সে পরিমান দাম পাচ্ছিনা। বাজারদর নিম্নমূখি থাকার কারনে প্রতিপিছ মোরগেই ৪০ থেকে ৬০ টাকা করে লোকসান হচ্ছে। বর্তমানে ফার্মে প্রায় ৩ হাজার মোরগ আছে। কিন্তু না রাখতে পারছেন, না বিক্রি করতে পারছেন। পড়েছেন বিপাকে।

মোমিন জানান, ১ দিনের একটি বাচ্চা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দিয়ে ক্রয় করতে হচ্ছে। একমাসে বিক্রয় উপযোগী করে তুলতে সর্বসাকুল্যে খরছ হয় আরও ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। একমাস পরে একটি মোরগে দেড় থেকে ২ কেজি ওজন হয়। কিন্তু বর্তমান বাজারে খরছ মোতাবেক দাম পাওয়া যাচ্ছেনা। যারফলে প্রতিটি মোরগই ৪০ থেকে ৬০ টাকা লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। এভাবে গত ৪-৫ বছর থেকে ধারদেনা করতে করতে আজ অনেকটা নিঃস্ব তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews