বড়লেখা প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের কুমারশাইল সীমান্তের বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে বাংলাদেশী কৃষকের গরু জোরপূর্বক ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় নাগরিকেরা। মঙ্গলবার বিকেলে লাতু সীমান্তের ১৩৬৭/৫ এস পিলার এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে ভুক্তভোগীসহ এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। বুধবার দুপুরে লাতু সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকে বিজিবি বিষয়টি উপস্থাপন করলে বিএসএফ বলেছে তারা বিষয়টি জানে না।
জানা গেছে, মঙ্গলবার উপজেলার কুমারশাইল গ্রামের সুনাম উদ্দিনের ছেলে আব্দুল কাইয়ুম লাতু সীমান্তের ১৩৬৭/৫ এস পিলার এলাকার বাংলাদেশ অভ্যন্তরে গৃহপালিত গরু চরাচ্ছিলেন। বিকেল আনুমানিক সাড়ে চারটার দিকে ৫-৬ জন ভারতীয় নাগরিক কাটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে আব্দুল কাইয়ুমের একটি বড় ষাড় ধরে নিয়ে ভারতের দিকে রওয়ানা দেয়। এসময় বাধা দিতে গেলে তারা আব্দুল কাইয়ুমকে মারধর করে। বিষয়টি আব্দুল কাইয়ুমের স্বজনরা উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদকে অবহিত করেন।
ষাড়ের মালিক আব্দুল কাইয়ুম জানান, ‘আমি জমিতে গরুকে ঘাস খাওয়াচ্ছিলাম। ৫-৬ জন ভারতের মানুষ জঙ্গলের ভেতর দিয়া আসে। আমার সাথে কোনো কথা না বলেই আমার বড় একটি বড় গরু (ষাড়) ধরে নিয়ে ভারতের দিকে রওয়ানা দেয়। তাদের বাধা দিতে গেলে লাঠি দিয়ে আমার মাথায় বাড়ি দেয় ও মারপিট করে। এসময় কাটাতারের ওপারে বিএসএফের সদস্যরা ছিল। গরুটি ওপারে নিয়ে ভারতের লোকজন বিএসএফের কাছে দিয়ে যায়। কি-কারণে ভারতীয়রা আমার গরুটি নিয়ে গেল বুঝতে পারছি না। ঘটনাটি আমাদের ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি বিজিবিকে জানান।’
উত্তর শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ বুধবার বিকেলে জানান, ‘আব্দুল কাইয়ুমের চাচা আব্দুল জলিল ভারতীয় নাগরিকরা তাদের বড় একটি গরু ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমাকে জানান। আমি তাৎক্ষণিক লাতু বিজিবি ক্যাম্পের ইনচার্জকে জানাই। বিজিবি বলেছে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের জন্য বললে তারা বুধবার আসবে বলেছে।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজিবির লাতু ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার আব্দুল খালেক জানান, ‘বুধবার দুপুরে সীমান্তে বিএসএফের সাথে বিজিবি পতাকা বৈঠক করেছে। ভারতীয় নাগরিকরা জোরপূর্বক বাংলাদেশী নাগরিকের গরু ধরে নেওয়ার বিষয়টি বৈঠকে উপস্থাপন করলে বিএসএফ জানিয়েছে বিষয়টি তারা জানে না। তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে।’
Leave a Reply