এইবেলা, বড়লেখা ::
বড়লেখায় গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে গিয়ে সিলেট পলি ট্যাকনিক্যাল কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী সাইফুর রহমানের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহতের চাচা বলাই মিয়ার দাবী সাপের কামড়ে তার ভাতিজার মৃত্যু ঘটেছে। তবে মৃতদেহে সাপের কামড়ের আলামত সন্দেহজনক। সাইফুর রহমান উপজেলার বর্নি ইউনিয়নের আহমদপুর গ্রামের মাওলানা আব্দুল আহাদের ছেলে। শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ নিহত শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, হাকালুকি হাওরপাড়ের বর্নি ইউনিয়নের আহমদপুর গ্রামের মাওলানা আব্দুল আহাদ ছেলেসহ সিলেটে বসবাস করেন। সাইফুর রহমান সিলেট পলিট্যাকনিকেল কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী। গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে বৃহস্পতিবার একাই সে বাড়িতে যায়। রাতে শয়নকক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। শুক্রবার সকালে পাশের ঘরের জয়নাল আবেদিন দরজা বন্ধ থাকতে দেখে ডাকাডাকি করে সাড়া শব্দ না পেয়ে লোকজনকে জানান। পরে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে গিয়ে দেখা যায় সাইফুর রহমানের নিথর দেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) রতন দেবনাথ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেন। নিহত সাইফুর রহমানের চাচা বলাই মিয়ার দাবী রাতে বিষধর সাপের কামড়ে তার ভাতিজার মৃত্যু হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাপের কামড়ে মারা গেলে, বিষে শরীর কালো হয়ে যায়, নাকে-মুখে প্রচুর ফেনা বের হয়। বিষাক্ত সাপ একটি কামড় দিয়েই আত্মরক্ষায় পালিয়ে যায়। কিন্ত নিহত সাইফুর রহমানের দেহে বিষাক্ত সাপের কামড়ের পরবর্তী লক্ষণগুলো দেখা যায়নি। বাম পায়ের উরুতে ৬/৭টি স্থানে রক্ত বেরুনোর দাগ রয়েছে। অনেকেই বলছেন ঘুমন্ত মানুষকে সাপ ৬/৭টি কামড় দিতে পারে না। দাগগুলো মাছ শিকারের টেটুর (কুচা) মতো মনে হচ্ছে। তাই এ মৃত্যু নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে যতেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। চলছে নানামূখি আলোচনা সমালোচনা।
বড়লেখার থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ শুক্রবার সন্ধ্যায় কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে। নিহতের পরিবারের কেউ বাড়িতে থাকেন না। একাই তিনি বাড়ি আসেন। চাচা ও পাশের ঘরের বাসিন্দারা বলছেন বিষধর সাপের কামড়ে সাইফুর রহমানের মৃত্যু ঘটেছে। বাম পায়ের উরুতে কয়েকটি দাগও রয়েছে। ডাক্তারী পরীক্ষা ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।#
Leave a Reply