বড়লেখা প্রতিনিধি:
বড়লেখা জামেয়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসায় সহ-সুপারিনটেনডেন্ট পদে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ করেছেন পদ বঞ্চিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মুহাম্মদ কামরুল হাসান। এব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে বৃহস্পতিবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর তিনি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
তিনি এ অভিযোগের অনুলিপি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, মাদ্রাসা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার ও মাদ্রাসা অধিদপ্তরের প্রোগ্রামার বরাবর প্রেরণ করেছেন।
ভুক্তভোগী মুহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, তিনি বড়লেখা জামেয়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসায় সহ-সুপার পদে আবেদন করেন। মাদ্রাসা সুপার ইসলাম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অত্র মাদ্রাসার সাবেক সহ-সুপার আব্দুল করিমের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। তিনি (সাবেক সহ-সুপার আব্দুল করিম) আমাকে বলেন, ১ লাখ টাকা দিতে পারলে আমি সহ-সুপার পদে নিয়োগ পেতে পারি। গত ৯ সেপ্টেস্বর নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আমি টাকা দিতে না পারায় সাবেক সহ-সুপার ও সুপার ইসলাম উদ্দিন বিপুল পরিমান অর্থের বিনিময়ে অপর প্রার্থী বদরুল ইসলামকে নিয়োগ দিয়েছেন। উল্লেখ্য নিয়োগ বাণিজ্য সফল করতে মাদ্রাসা সুপার ইসলাম উদ্দিন ও সাবেক সহ-সুপার আব্দুল করিম নিয়োগ বোর্ডের প্রধান মাদ্রাসা অধিদপ্তর প্রতিনিধি সহকারী পরিচালক লুৎফুর রহমানের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখেন এবং প্রশ্নের নমুনা সংগ্রহ করেন। আব্দুল করিম ও যোগসাজসে নিয়োগপ্রাপ্ত সহ-সুপার বদরুল ইসলাম ঢাকা থেকে বিমান যোগে ডিজি প্রতিনিধিকে আনা-নেওয়া করেন। সিলেট থেকে বিলাশ বহুল প্রাইভেট গাড়িতে বড়লেখায় অত্র মাদ্রাসায় নিয়ে আসেন ও পরে পৌঁছে দেন। এখানেই শেষ নয়, তারা ডিজি প্রতিনিধিকে দিনভর মাধবকুÐ জলপ্রজাত ও হাকালুকি হাওর পরিদর্শণ করিয়ে উপহার সামগ্রীও প্রদান করেন। যা অনেকেই প্রত্যক্ষ করেছেন। সূত্রমতে ডিজি প্রতিনিধির জন্যই তারা অর্ধলক্ষ টাকার বাজেট করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাওলাদার আজিজুল ইসলাম জানান, বড়লেখা জামেয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসার সহ-সুপার পদের একজন প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে পরামর্শ করে অভিযোগটির তদন্তের ব্যবস্থা নিবেন।
Leave a Reply