সংবাদ বিজ্ঞপ্তি::
ফ্রান্সে বড়লেখা উপজেলার পানিধার এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেনের ছেলে কাওছার হামিদ আলীর মৃত্যুর ঘটনায় অনলাইন পোর্টাল ‘এইবেলায়’ গত ২১ অক্টোবর ‘ফ্রান্সে বড়লেখার যুবকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য, হত্যার অভিযোগ’ শিরোনামের সংবাদে আমাকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশের ঘটনায় আমি সামাদ আহমদ তামিম তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হওয়া সংবাদে আলী ভাইর মৃত্যুর কারণটি (দুর্ঘটনা/কিংবা হত্যা) ফ্রান্সের সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিশ্চিত করে নয়, বরং স্পেনে বসবাসরত নুরুল ওয়াহিদ নামে এক ব্যক্তির বক্তব্যের বরাত দিয়ে আমাকে জড়ানো হয়েছে। অথচ সংবাদে আমার কোনো বক্তব্যও নেওয়া হয়নি। আমাকে যড়যন্ত্রমূলক ফাঁসানো হচ্ছে। এমন মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করায় আমি-আমার পরিবার সমাজের কাছে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি। আমি যড়যন্ত্রের শিকার।
ফ্রান্সের মত উন্নত দেশে অপরাধ করে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। যেখানে সব জায়গায় সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ঘটনাস্থলের আশপাশে সিসি ক্যামেরা দেখে ফ্রান্সের পুলিশ সত্য উদঘাটন করবে। নিম্নে আমি পুরো ঘটনার ব্যাখ্যা করছি। আশা করছি প্রকৃত ঘটনা আপনার পত্রিকায় তুলে ধরে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবেন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর তারিখে আমি ফ্রান্সের আমার কর্মস্থল থেকে বাসায় যাওয়ার জন্য মাজদরমি বাসস্টপে নাইট বাস ধরতে নামি। আমি বাস স্টপের সামনে আসা মাত্র দেখলাম কয়েকজন যুবক আমার পূর্ব পরিচিত কাওছার হামিদ আলীকে ঘিরে ধরে আছে। তার সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হচ্ছে। তখন তিনি আমাকে ডাকলেন। আমি এগিয়ে গেলে বলেন- তারা আমার কাছে কিছু টাকা পাবে, আমি বলছি পরে দেব। তারা তো মানতেছে না, মেম্বার সাব তুমি একটু সময় নিয়া দেও রে বা।
তখন আমি পাওনাদারদের বলি তার কাছে কত পাবেন, তারা জানায় ৩৮০ ইউরো। তাদের আমি বলি তাইন তো দিবা কইরা আপনারা একটু সময় দেন তানোরে। তারা আমার কথা মানতে নারাজ। যারা টাকা পাবে বলে দাবি করছিল তাদের একজন বড়লেখার কাঠালতলীর বাসিন্দা ও অন্যরা কুলাউড়া বাড়ি বলে জানিয়েছে। এরআগে তাদের আমি দেখিনি কোনো দিন। তখন আলী অসংলগ্ন অবস্থায় ছিলেন বলে মনে হয়েছে।
হামিদ আলী আমাকে বলেন, মেম্বার তুমি থাকলে দেও রেবা আমি পরে দিমু। আমি তখন বলি ভাই আমার কাছে এতো টাকা নেই, আচ্ছা দেশে আপনার কেউ থাকলে ফোন দেন, তারা যদি দায়িত্ত্ব দেন আমি সময় নিয়ে তাদেরকে টাকা দেব। পরে আপনে আমারে পরিশোধ করে দিবেন । তখন আলী বলেন আমি মোবাইল তো বাসায় রাখিয়া আইছি। তোমার মোবাইল দেও, এরপর তিনি আমার মোবাইল নিয়া তানোর বাড়িতে ফোন দিয়ে আমার কাছে ধরিয়ে দেন।
ফোনটি ধরেন তার বাবা, আলী কথা বলেননি, তখন আলীর বাবাকে আমার পরিচয় দিয়ে জানতে চাই আলী কে হয়, তিনি বলেন আমার ছেলে। আমি তখন ঘটনা খুলে বলি। জানাই যে চাচা আলী ভাইয়ের কাছে কয়েকজন লোক টাকা পাবে। আটকে রেখেছে, এখন কি করা যায়। তখন আলী ভাইয়ের বাবা বলেন সে আমাদের সাথে কোনো যোগাযোগ রাখেনি প্রায় আড়াই বছর হয়, এরপরর বাবা বলেন মেম্বার তুমি বিষয়টি সমাধান করে দেও আমরা পরে দেখছি। এই বলে কথা শেষ করেন।
তখন আলী ভাইয়ের পাওনাদাররা বিষয়টি মানছিল না। এমন সময় একটি পুলিশের গাড়ি আসে, আমারও বাস চলে আসে, আমি বাসে উঠে যাই। তখন আলীর পাওনাদার যুবকদের চলে যেতে দেখি। আর কি ঘটেছে আমি জানিও না।
গত ২০ অক্টোবর জানতে পারি তিনি মারা গেছেন। অনেকের ফেসবুক থেকে জানতে পারি তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। কিন্তু স্পেনে বসবাসরত নুরুল ওয়াহিদ নামের এক ব্যক্তি আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় বক্তব্য ও লাইভে বক্তব্য দেন। নুরুল ওয়াহিদ উল্লেখ করেন আমি উবার আইডি ব্যবহারের টাকা ও ঘর ভাড়া পাব। অথচ ফ্রান্সে আমার নিজের কোনো ঘর নেই আর উবার আইডিও নেই। নূরুল ওয়াহিদের বাড়ি ও আমার বাড়ি একই ইউনিয়নে। মূলত আমি দেশে থাকাকালীন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ছিলাম, রাজনীতি করেছি। বর্তমানে ফ্রান্সেও রাজনীতির সাথে জড়িত। রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্পেনে বসবাতরত নূরুল ওয়াহিদ ভাইয়ের সাথে ফেসবুকে আমার মত বিরোধ হয়েছে। এসব আক্রোশে তিনি আমাকে ফাঁসানোর জন্য এসব মিথ্যা-মনগড়া তথ্য তুলে ধরছেন।
Leave a Reply